যৌন হয়রানির অভিযোগে জবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিনিধি।ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যৌন হয়রানির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার কেন করা হবে না— তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব বিষয় বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেটে উপস্থিত একাধিক সদস্য। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের এক ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম (জরুরি ভিত্তিতে ডাকা) সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ জানান, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ— অর্থাৎ কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হবে না, সেই জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগেই তাকে সাময়িক বহিষ্কার ও প্রথম নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও জানান, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি এখনও প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একধিক সদস্য জানান, বারবার শিক্ষা ছুটি নিয়ে তা শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে না আসায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক শেখকে স্থায়ী বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়। আর গত ৮ মার্চ গাজীপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ জবির ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। SHARES বিশেষ সংবাদ বিষয়: