চার লক্ষ টাকা চুক্তিতে হত্যা করা হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৪

এম এ আজিজ।ঝালকাঠির নলছিটিতে আলোচিত জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজী হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছে নলছিটি থানা পুলিশ। একই সাথে চার লক্ষ টাকা চুক্তিতে হত্যা মিশনে অংশ নেয়া মো. মিজানুর রহমান (৫১) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র।

গত ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে জাতীয় নির্বাচনী কাজ শেষে নিজ বাড়ী উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজীকে।

এরপরই এর সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল(২০জুন) নলছিটি থানা পুলিশ চুক্তিতে হত্যায় অংশ নেয়া উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের বাসিন্দা আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে মিজানুর হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এসময় তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ফুয়াদ হত্যায় জরিত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা পূর্বের আসামীদের জবানবন্দি অনুযায়ী কিলিং মিশনে অংশ নেয়া মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মিজানুর রহমানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী,হত্যায় তারা দুজন অংশ নেয়, তার সাথেরজন ফুয়াদ কাজীর কোমর জাপটে ধরে এবং সে অনবরত কোপাতে থাকে। এসময় তার সাথের জনের হাতও মারাত্মক জখম হয়। পরে সে বরিশালের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসা নেয়। সে আরও জানিয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম হাওলাদার তাদের ভাড়া করেন।

নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, ফুয়াদ কাজী হত্যায় যারা সরকারি অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখন তার সাথের জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।