বদলগাছীতে ১দফা দাবী ব্যস্তবায়নের দাবীতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৪ ১০ম গ্রেডের ব্যস্তবায়ন প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন? আমরা নাকি মানুষ গড়ার কারিগর?শিক্ষক কেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি?হাতে এমন প্রশ্নের প্লাকার্ড। এছাড়া দৃষ্টি ভঙ্গি বদলাবেন, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিবেন, স্লোগান মোদের একটাই বেতন বৈষম্য নিরসন চাই, হিসাবটা টাকার নয়, হিসাবটা টাকার নয় সন্মানের এমন বিভিন্ন শ্লোগানের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দশম গ্রেডের দাবীতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন প্রাথমিক ধাপে মানুষ গড়ার কারিগর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি একটাই দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চাই। এই এক দফার দাবি নিয়ে নওগাঁর বদলগাছীতে মানববন্ধন করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাড়ে চার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই এক দফার বাস্তবায়ন চায় তারা। উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক নারী পুরুষ শিক্ষকরা অংশ গ্রহণ করেন। জাইজাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ রিপুর সভাপতিত্বে ও গাবনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান। শিক্ষক জুয়েল রানা, খোরশেদ আলম, আলমগীর স্বপন, শামিম হোসেন, শাকিল হোসেন, রুহুল আমিন, অসীম বর্মনসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহকারি ও প্রধান শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।বক্তারা বলেন, ‘দশম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, আমাদের অধিকার। যেখানে অন্য সকল ডিপার্টমেন্টে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়, সেখানে মানুষ গড়ার কারিগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণি তথা ১৩তম গ্রেড প্রদান করা হয়। বিশ্বের উন্নত দেশ সমুহে যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সম্মান ও সম্মানি প্রদান করা হয় সেখানে আমাদের দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদেরকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি করে রাখা হয়েছে।’ বক্তারা আরও বলেন, পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করলে আমরা অন্যান্যদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা অবহেলিত, অনেকে ডাকে এই মাস্টোর,,,, এটা কি আমাদের পরিচয়। কাজেই আপনাদের কাছে অনুরোধ দৃষ্টি ভঙ্গি বদলাবেন, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিবেন।শিক্ষক কেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি প্রশ্নের তুলে বক্তারা আরও বলেন, আমরা সমাজে ভালো একটা আত্মসন্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। ২০০৯ সালে সর্বশেষ পদোন্নতি হয়। এরপর আর কোনো পদোন্নতি নেই। তাই এখন একটাই দাবি দশম গ্রেডের বাস্তবায়ন চাই।মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: