আখাউড়ায় প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৪

সুমন আহম্মেদ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছয়গড়িয়া শাহআলম উ”চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে মানবন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া গ্রামে স্কুল সংলগ্ন সড়কে
এ মানববন্ধন করা হয়। মানবন্ধনে কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত
ছিলেন।এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৪টি পদ শূণ্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক পদে দুই বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা বেগম নিজের পদ ধরে রাখার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন না। অন্যান্য পদেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছেনা।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশলে নিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করছেন।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কমিটির সাবেক সভাপতি ও ভূমিদাতা আবুল বাশার মোবারকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। তাছাড়া তিনি বর্তমান কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ কমিটির তিনজন সদস্যের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক কথায় কথায় মামলা ঠুকে দেন। এসময় বক্তারা দ্রুত প্রধান শিক্ষকসহ শূণ্য পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানান। সাবেক সভাপতিসহ কমিটির সদস্যের বিরুদ্দে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারেরও দাবী করেন।

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম, কমিটির সদস্য আবুল বাশার, সাবেক সদস্য সহিদ মিয়া (মেম্বার), আবু তাহের
প্রমুখ।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ সেলিনা বেগম বলেন, আমি যাদের বিরুদ্ধে
আদালতে মামলা করেছি তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে অভিযোগ করছে।আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৪টি পদ শূন্য আছে। বার বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও প্রধান শিক্ষক সভা আহবান করেন না। দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কিš‘ তিনি কমিটিকে সহযোগিতা করছেন না। ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধেও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।