উৎপল মোহন্তঃ বগুড়ায় মারা যাওয়া যুবকের আকষ্মিক আগমন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁকে ৭ বছর আগে হত্যার মামলায় সাড়ে ৪ মাস জেল খেটেছেন আজিজার রহমান (৩০) নামে এক ব্যক্তি এবং আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে হয়রানি হয়ে আসছেন আজিজার।জানা যায়,টানা ৭ বছর পর বগুড়ার সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় সোমবার ৯ আগস্ট সকালে দেখা মেলে খুন হওয়া শামীমের সাথে। তাও আবার জীবিত। আর এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশে এলাকায় চাঞ্চল্যের ছড়িয়ে পরে উৎসুক জনতা তাঁকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান। বর্তমানে কথিত খুন হওয়া শামীম বগুড়া সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, শামীম উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম শাহিন উদ্দিন। এই মামলায় জড়িত আসামী আজিজার রহমান একই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মৃতঃ ধলু প্রাং। আজিজার রহমান সে পেশায় মুদির দোকানের কর্মচারী।এ বিষয়ে আজিজার রহমান বলেন, শামীম ১ লাখ টাকা ধার নিয়ে ছিলেন। এই পাওনা টাকার জন্য ৭বছর আগে চাপ দিয়ে ছিলাম শামীমকে। টাকা না দিয়ে শামীম কৌশলে গ্রাম থেকে উধাও হয়ে যায়। লোক মুখে শুনলাম শামীম বেঁচে আছে এবং তাঁর পরিবারে নিয়মিত যোগাযোগ করে। কিন্তু শামীমের মা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি হত্যা মামলা করেন ঝর্ণা বেগম।শামীমের হত্যা মামলাাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় সাড়ে ৪ মাস জেল খেটেছেন আজিজার।
সোমবার সকালে মানিকচক এলাকায় শামীম বাইসাইকেল চালিয়ে ঘোরফেরা করেন। এরপর আজিজারের ছোটভাই ভ্যান চালক দেখতে পেয়ে লোকজনের সহযোগিতায় শামীম কে আটকে রাখে।পরে থানা পুলিশ কে জানানো হলে পুলিশ এসে শামীমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।এবিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, শামীম থানা হেফাজতে রয়েছে। তিনি প্রায় ৫ বছর আগে আদালতে এসে হাজিরা দিয়েছেন বলে স্বীকার করছেন। হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।সবকিছু খোলাসা করতে জিজ্ঞাসা চলছে।