সাখাওয়াৎ হোসেন সরকার(মিলন): জীবন দক্ষতা সাধারনভাবে বলা যায় মানুষকে সুস্হ,সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে সব কলাকৌশল,জ্ঞান,দৃষ্টিভঙ্গি ও আবেগিক আচরণিক চেতনা লাভ করতে হয় তার সার্বিকরুপই হলো জীবন দক্ষতা। অর্থাৎ ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত জীবন নির্বাহ করার প্রয়োজনে মানুষ যে সব জ্ঞান,যোগ্যতা,দৃষ্টিভঙ্গি এবং কলাকৌশল ও পদ্দতি আয়ত্ত করে তাদেরকেই জীবন দক্ষতা বলা হয়। জীবন দক্ষতা ব্যক্তিকে সার্বিকভাবে কর্মক্ষম এবং সচেতন করে তোলে।এর প্রভাব মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রেই প্রতিফলিত হয়। যেমন-সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
আধুনিক প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে জীবন দক্ষতা হলো ব্যক্তির পরিচায়ক। এর মাধ্যমে ব্যক্তির কর্মকুশলী চেতনার প্রতিফলন ঘটে যা ক্রম পরিমাপযোগ্য। জীবন দক্ষতা পরিমাপযোগ্য এবং মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যক্তির জীবন দক্ষতাপূর্ণ অবস্হান শনাক্ত করা যায়। জীবন দক্ষতায় ব্যক্তি সুনামের সহিত বেঁচে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্হা ( WHO) কর্তৃক প্রবর্তিত দশটি জীবন দক্ষতা বিশ্বব্যাপী বিভিন্নভাবে ব্যক্তির জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক পরিসরে বিভিন্ন কর্মকান্ডের পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। জীবন দক্ষতাগুলো হলো- আন্তব্যক্তিক জীবন দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা,আত্মসচেতনতা,ক্রিটিক্যাল চিন্তন দক্ষতা,সৃজনশীল চিন্তন দক্ষতা,আবেগ সামলানোর দক্ষতা,সিদ্ধান্ত গ্রহনের দক্ষতা,চাপ মোকাবেলা করার দক্ষতা,সমস্যা সমাধানের দক্ষতা,সহমর্মিতা ও সহযোগিতা করার দক্ষতা।