ইউসুফ শেখঃ খুলনা ফুৃলতলা উপজেলার ফুলতলাবাসী “রক্ত দেব তবু পানি দেব না’’ স্লোগানে মরণ ব্যধি করোনা কে উপেক্ষা করে রাজ পথে নেমেছে ফুলতলা উপজেলার সর্বস্থারের মানুষ। দলমত নির্বিশেষে আজকের এই আন্দোলন। খুলনা ওয়াসার গোপনে ফুলতলা উপজেলার পানি নেওয়ার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যমত।
সবাই ফুলতলাবাসী নিজের স্বার্থে,ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে আজ ঐক্যবদ্ধ। ফুলতলা উপজেলা পানি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ।বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্বাক্ষর লিপি জমাদেন ফুলতলা ইউএনও সাদিয়া আফরিন এবং ওজোপাডিকো’র আবাসিক প্রকৌশলী উৎপল চন্দ্র দে এর কাছে।
লকডাউন ভেঙ্গে কেন এমন প্রতিবাদ জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ মোহাম্মদ শিপলু ভূইয়া জানান ফুলতলা উপজেলা খুলনার অন্যতম আধুনিক উপজেলায় পরিণিত এ অন্চলে রয়েছে শিল্প কারখানা আবাদি জমি, মৎস খামার, দেশের সর্ববৃহৎ নার্সারি সহ আরো অনেক কিছুই। ফুলতলা উপজেলা আয়তনে ৭৪.৩৩ বর্গকিমি বা (২৮.৭০ বর্গমাইল) এখানে প্রায় ১,৮৩,৩৭৪ জন লোকের বসবাস এবং রয়েছে ৪টি ইউনিয়ন ও ২৫ টি গ্রাম।
এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য সুপেয় পানির যে চাহিদা তা মেটানো কঠিন তার উপর খুলনা ওয়াসা ফুলতলার চৌদ্দমাইল থেকে পথের বাজার এলাকা পর্যন্ত ২০টি বুষ্টার পাম্পের মাধ্যমে দৈনিক ১ কোটি গ্যালন ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানি খুলনা মহানগরীতে নিয়ে গেলে ফুলতলা এলাকায় মরুকরণের সৃষ্টি হবে। ফলে এ এলাকায় কৃষি, মৎস্য, নার্সারীতে বিরুপ প্রভাব তথা জনজীবন বিপন্ন হবে । তৃীব্র গরমে অতিষ্ট জনজীবন সেই সাথে বৃষ্টি না থাকায় আটরা গিলাতলা সহ অন্যান্য গ্রামে অগভীর এবং গভীর নলকুপ গুলোতে ঠিকমত উঠছে না তারউপর খুলনা ওয়াসার এমন পরিকল্পনায় ফুলে উঠেছে ফুলতলা বাসি।