রহমতউল্লাহঃ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নওগাঁয় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য কৃষিশ্রমিক যেতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার ও বুধবার গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও নীলফামারী থেকে পাঁচ শতাধিক কৃষিশ্রমিক নওগাঁয় পাঠানো হয়েছে বলে যানা গেছে। গত বুধবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় গাইবান্ধা থেকে ২১২ জন নওগাঁয় যান।
আগামী কাল সকালে দিনাজপুরের বিরামপুর ও নীলফামারীর ডোমার উপজেলা থেকে আরও ২৬৫ জন যান। বাইরের জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের সান্তাহার রোড মোড়ে কৃষিশ্রমিক সহায়তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। বাইরে থেকে আসা এই কৃষিশ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে থার্মাল মেশিনের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য তাঁদের মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় এই শ্রমিকদের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয়।
নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, দেশের অন্যতম বোরো উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁ। প্রতিবছর আমন ও বোরো মৌসুমে জেলার অভ্যন্তরীণ কৃষিশ্রমিক ছাড়া বাইরের জেলার আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয় এ জেলায়। যেসব জেলায় ধান উৎপাদন কম হয়, ওই সব জেলার কৃষিশ্রমিকেরা এ জেলায় ধান কাটতে আসেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এ জেলায় বাইরের জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আনা হয়েছিল। এবারও বিভিন্ন জেলা পুলিশের উদ্যোগে নওগাঁ জেলায় ধান কাটার শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার কৃষিশ্রমিক এ জেলায় আসবেন।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটার জন্য ৪ লাখ ২৫ হাজার ৪০ কৃষিশ্রমিকের প্রয়োজন। এর মধ্যে স্থানীয় শ্রমিক আছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৫ জন। অর্থাৎ আরও ৭৮ হাজার ৮৫৫ জন শ্রমিক অন্য জেলা থেকে নিয়ে আসতে হবে।