আমির হামজা আবিদঃবন্দর নগরী মোংলাতে মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ এখন ৪০/৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতা সাধারনের। নিন্ম আয়ের মানুষ হয়ত এ বছর তরমুজের স্বাদই নিতে পারবে না এমনটি মনে করছেন অনেকে।
পবিত্র মাহে রমজানের ১ম দশ দিন পার করতে যাচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। রমজান এলেই বলাচলে বাঙালী প্রতিটি পরিবারেই ইফতারে থাকে হরেক রকমের মৌসুমী ফলের সমাহার। এবারের রমজানে মৌসুমী ফলের মধ্যে অন্যতম ফল হচ্ছে তরমুজ। সেই তরমুজের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। দাম বৃদ্ধির কারনে অনেক রোজাদার আজও তরমুজের স্বাদ কি তা নিতে পারেনি। বিগত বছর গুলোতে উপজেলার সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি এবং পিচ হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চলতি মৌসুমে বাজারে তরমুজের যথেষ্ঠ যোগান দেখা গেলেও এ বছর তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে।
পৌর শহরের চৌধুরির মোড়, মামার ঘাট, প্যারাডাইস মোড়, এবং শাহাদৎতের মোড়সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে ৪০/৪৫ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমত বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।দিন মজুর ইয়াছিন বলেন, কাজ করে দিন শেষে ৪শ টাকা পাই। এই রোজগারের টাকায় চাল ডাল, মাছ, শাক সবজি কিনলে আর টাকা থাকেনা। তাই তরমুজ দেখে তার গায়ে একটু হাত বুলিয়ে চলে যাচ্ছি। ১টি তরমুজ ৫/৬ কেজি ওজন তার দাম হচ্ছে ২০০ হতে ২৪০ টাকা। সারা দিন আয় করছি ৪শ টাকা, আমারপক্ষে তরমুজ কেনা কি সম্ভব ?
বাজারে আসা রোজাদার সহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের প্রশ্ন যে তরমুজ গত বছরও মানুষ ১০/১৫ টাকায় কিনেছে, সেই তরমুজ এ বছর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫টাকা । ভোক্তাদের প্রশ্ন এই টাকা কি প্রকৃত পক্ষে ওই চাষি, যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তরমুজ উৎপাদন করেছে তার পকেটে যাচ্ছে নাকি অন্য কারও পকেটে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারী বাজার হতে শ’ হিসেবে কিনে তা সিন্ডি কেড করে বেশি দামে বিক্রি করছেন। আমরাও বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজার মনিটরিং করলে দামের ঊর্ধ্বগতির কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।