হারুনুর রশিদঃ সম্প্রতি তরমুজ কেনাকে কেন্দ্র করে দু-সহদর ভাই প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে কাহালু উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌগির আহম্মেদ রিতুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এজাহার নামীয় এই ২০ জন আসামীদের মধ্যে আরো রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ রনিসহ সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী।
জানা গেছে গত ১৮ এপ্রিল একটি তরমুজ কেনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার শীতলাই ক্লাবঘর এলাকার বিক্রেতা খালেকের সাথে, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ন আহবায়ক জুয়েলের হাতাহাতি হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে বহিরাগতরা গিয়ে জুয়েল ও তার ভাই হেলালকে বেদম মারপিট করে। তারা দুজনই গুরুত্বর জখম হয়ে বর্তমানে বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাহালু থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, এই মামলার বাদী জখমীদের ভাই ইউপি মেম্বার জাকিউল ইসলাম সোহেল। মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে মারপিট করে গুরুত্বর জখম, হত্যার হুমকি, দোকানের বাক্স ভেঙ্গে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা চুরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে আসামীরা।
মামলার বাদী সোহেল জানান, তরমুজের ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌগির আহম্মেদ রিতু মোবাইল ফোনে জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। সকলেই জানেন তরমুজ কেনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহম্মেদ উচ্ছাস জানান, বিএনপি সমর্থক কতৃক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।