আব্দুল্লাহ আল মামুন রনীঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীগন তাদের ইচ্ছে মতো দাম বারিয়ে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা ও জনসাধারণ। নিম্ন আয়ের মানুষেরা এ বছর তরমুজের স্বাদ নিতে খুবই হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানা যায়। রমজান মাস এলেই প্রতিটা রোজাদারের পরিবারে ইফতারে থাকে তরমুজসহ হরেক রকমের মৌসুমী ফলের সমাহার। কিন্তু সেই তরমুজের দাম এবার আকাশ ছেঁায়া। দাম বৃদ্ধির কারনে অনেক রোজাদারসহ নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে তরমুজের স্বাদ থেকে যাচ্ছে অধরা।
গত বছর বোয়ালমারীর সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি এবং টুকরো হিসেবে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার চিত্রটা ভিন্ন। চলতি মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত তরমুজের দেখা গেলেও এ বছর তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৫০/৬০ টাকায়। বোয়ালমারী বাজারসহ বিভিন্ন বাজার, হাট ঘুরে দেখা গেছে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমতো বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন। আবার অনেক ক্রেতা যেহেতু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তাই কেটে ১ কেজি তরমুজ চাচ্ছেন দোকানির কাছে। এ নিয়েও চলছে বাক বিতন্ডা।
আতিয়ার নামের এক স্বল্প উপার্জনকারী চা বিক্রেতা বলেন, লকডাউন চলছে। ভয় নিয়ে সড়কে আসি, দিন শেষে যা আয় হচ্ছে কোনো রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। এই রোজগারে এ বছর তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না। আতিয়ারের মতো বাজারে আসা রোজাদারসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের প্রশ্ন তরমুজ কেজিতে বিক্রি হওয়ার কারন কি? যে তরমুজ গত বছরও মানুষ পিস হিসেবে কিনেছে, সেই তরমুজ এ বছর কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে যদি ১৫/২০ টাকা হতো তাহলে সাধ্যের মধ্যে থাকতো। অথচ ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারী বাজার হতে শ’ হিসেবে কিনে তা কেজিতে বিক্রি করছেন। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরাও কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ব্যাপারে রবিউল ইসলাম নামের এক সচেতন ক্রেতা বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং প্রয়োজন। ইফতারিতে তরমুজ পুষ্টিকর এবং রসালো খাবার। অথচ মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তা ক্রয়সীমার বাইরে।