শাহ জামালঃ কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় টমটম সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া থানা সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কক্সবাজার ভারুয়াখালী পূর্ব সিকাদর পাড়া এলাকার মৃত গুরা মিয়ার পুত্র ছালামত উল্লাহ(৫৫) ও তার স্ত্রী আনছারা বেগম(৪০), একই এলাকার মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী ধলু বিবি(৫০), আব্দুল মোনাফের স্ত্রী গোলাপজান(৫০), আনোয়ার উপজেলার বাসিন্দা হাফেজুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫), সিএনজি চালক মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ হাসান(৩৭), পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন কাছারী মুরা এলাকার মোহাম্মদ কালু(৫৫), একই ইউনিয়নের দানু মিয়া(৩৭) বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁশিয়াখালীর বাসিন্দা আমেনা বেগম (৩২), আহমুদূর রহিম(৪০), পেকুয়া সদর মেহেরনামার আবুল কাসেমের ছেলে মো. সাজ্জাদ(৩৩)।
তবে আহতদের মধ্যে গোলাপ জান, সিএনজি চালক মো.হাসান,মোহাম্মদ কালু,আমেনা বেগম,আহমুদূর রহিম,দানু মিয়া এদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চমকে হাসপাতালে রেফার করে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় টমটম ও সিএনজি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টমটম গাড়িটি ৬ জন যাত্রী নিয় বাগুুজারা ব্রীজে যাচ্ছিলেন। আঞ্চলিক মহাসড়কের পেকুয়া সদরের চৌমুহনী পার হয়ে পেকুয়া থানার কাছাকাছি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহি একটি সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টমটমকে ধাক্কা দিলে সিএনজি ও টমটম দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় চালকসহ ১১জন গুরুতর আহত হন।
পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত কানন সরকার জানান, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। টমটম ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃফাবিহা মেহজাবীন বলেন, আহতদের অবস্থা গুরুতর। কয়েকজনকে চমেকে রেফার করা হয়েছে।