হাফিজুর রহমানঃ বরগুনার তালতলীতে তুচ্ছঘটনাকে কেন্দ্রকরে স্থানীয় একটি মুদি ও বিকাশ এজেন্টের দোকান ভাংচুর ও প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইমরান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। লুটপাট থেকে নিজ দোকানকে রক্ষা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয় হিরু মিয়া দোকান মালিক।
গতকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ করেন ওই দোকান মালিক। অভিযুক্তরা হলেন, ইমরান,(৩০)ইউনুস (৫০)ছেতারা (৩৫) বাবুল (২৫) রুবেল(২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন হিরু গাজি ভাইর ছেলে নাইম (১২) রাত ৮ টায় পাশবর্তী দোকান থেকে টাকা নিয়ে আসছেন পথিমধ্যে অভিযুক্ত ইমরানের শিশু পুত্র ওই নাইমের গায়ে বালি নিক্ষেপ করেন এতে রাগকরে নাইম শিশুটিকে একটি চর মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটির বাবা ইমরান নাইমকে মারধর করে। হিরু গাজী ইমরানকে বাঁধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে ইমরানের লোকজন মুহুর্তে মুদি ও বিকাশ এজেন্ড’র দোকান ঘরে হামলা চালায়। এতে দোকানের ক্যাশে থাকা বিকাশ পয়েন্টের প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয় তারা।
হিরু মিয়া বলেন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে ও বাহিরে আমার বিকাশের ব্যবসা রয়েছে মঙ্গলবার সকালে বিকাশ পয়েন্টের টাকা দেওয়ার জন্য রাতেই দোকানে ৩ লাখ টাকা ক্যাশ এনে রাখি আর আমার অন্য দোকান থেকে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নাইমকে দিয়ে অন্য দোকান থেকে নেওয়া হয়। পথিমধ্যে ইমরানের শিশু পুত্র ওই নাইমের গায়ে বালি নিক্ষেপ করেন এতে রাগকরে নাইম শিশুটিকে একটি চর মারে। ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটির বাবা ইমরান,(৩০)ইউনুস (৫০)ছেতারা (৩৫) বাবুল (২৫) রুবেল(২৫) নাইমকে মারধর করে। নাইমের ডাক চিৎকার সুনে আমি দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে বাঁধা দিলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে নাইমে সাথে নিয়ে দোকানে দৌড়ে এলে দোকানে হামলা করে। পরে দোকানে থাকা বিকাশের কাজে ব্যবহৃত ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা।
প্রতক্ষদর্শী মোঃ সুমন মাজেদা, সাইফুল, মোশারেফ হোসেনসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, হিরুর দোকান ১০/১২ জন লোক ঢুকে হামলা চালাতে দেখেছেন তারা লোক চলেযাওয়ার পরে রাস্তা থেকে কুরিয়ে ৪/৫ হাজার টাকা হিরুকে তুলেদেন স্থানীয়রা এ সময় দোকানের ভিতরে টাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখাযায়। এ দোকানে সব সময় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা সব সময় থাকে।
তবে অভিযোগটি অস্বীকার করে ইমরান হোসেন বলেন, হিরুর দোকান থেকে তারা কেউ টাকা নেয়নি। উল্টা আমাদের মারধর করেন তারা।এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। বিষয়টি প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।