এম.এ. সাঈদ (বাবু): ইরি মৌসুমে পাঁকা ধান কাটা নিয়ে কৃষকের দুঃশ্চিন্তার অন্ত থাকে না, বিগত কয়েক বছরে রাজনৈতিক নেতা এম-পি , মন্ত্রীর কৃষকের মাঠে ধান কাটতে যাওয়ার দৃশ্যই বুঝায় যে, এই ইরি বা বোরো মৌসুমে কৃষকের পাকা ধান কাটা শ্রমিকের অন্তহীন সমস্যার কথা।
ইরি বা বোরো মৌসুমে কৃষকের পাকা ধান কাটা শ্রমিকের অভাব দেখা দেয়, শ্রমিকনির্ভর এলাকাগুলো থেকে ধান উৎপাদনকারী এলাকাগুলোতে শ্রমিক পাঠানো হয় ধান কাটার জন্য- এমন দৃশ্য এই চলতি মাসে লকডাউনের সময়েও চোখে পড়েছে। তবে এই কৃষিশ্রমিক বা ধান কাটা শ্রমিক সংকটেও আর সমস্যা থাকবে না কৃষকের।
কারন জাপানী প্রযুক্তিতে তৈরি এ মেশিন একই সাথে ধান কাটা ও মারাই করে আলাদা করার কাজটি করে থাকে। মেশিনটির নাম “কুবোটা”- যা এখন বাংলাদেশে। কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী থানার ফুটানী বাজার যাবার পথে এমন মেশিন দিয়ে ধানকাটার দৃশ্য দেখছিলেন উৎসুক জনতা।মেশিনের মালিক স্থানীয় ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা- ইরফান আলী বাবু বলেন ১৫ লাখ টাকা দিয়েছি আর সরকারের কৃষিবিভাগ ১৫ লাখ টাকা ভর্ত্তুকি দিয়েছে।
এক বিঘা জমির ধান কাটা ও মেশিনে মাড়াই করতে সময় লাগে ৩০-৩২ মিনিট, জানালেন মেশিন ড্রাইভার জয়ফুল। প্রতিবিঘা জমির ধান কেটে
মাড়াই করতে খরচ নেন ১৮০০-২০০০টাকা। স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ধান কাটার শ্রমিকের যে সমস্যা এখন এ মেশিন আসায় আর তা থাকবে না, দৈনিক ৮ ঘন্টা হিসাবে ধান কাটলে ১৬- ১৮ বিঘা ধান কাটা যাবে এ মেশিনে, আর ১৬-১৮ বিঘা ধান শুধু কাটতেই শ্রমিক লাগে ৬৫ থেকে ৭০ জন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও পাটেশ্বরী বরকতীয়া স্কুল শিক্ষক মতিউর রহমান মতি বলেন, “ এ প্রযুক্তি যদি দেশব্যাপী সরকার ছড়িয়ে দিতে পারে তবে কৃষদের ধান কাটতে আর আমাদের নেতা কর্মীদের যেতে হবে না।”