আশরাফুল ইসলামঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী মৌজার পত্রিক সূত্রের পাওয়া জমি হতে জোড় পূর্বক প্রায় ২৫ মন ধান কর্তন করে নিয়ে যায় এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানার মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী বেবী বেগম। মামলা দায়ের পর হতে অভিযুক্ত ১ নং আসামী জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডাসহ আসামীরা ও তাদের পরিবারের লোকজন মামলার বাদী বেবী বেগম কে ধর্ষণ করে হত্যা ও পরিবারের সদস্যদের এবং মামলার স্বাক্ষীগণ কে প্রাননাশের হুমকি ধামকি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতে করে মামলা দায়ের পর আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় মামলার বাদি অসহায় বেবী বেগম তার পরিবার ও মামলার স্বাক্ষীগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবী করে ভুক্তভোগী বেবী বেগম ও তার পরিবার। তারা আরো বলেন, শুধু ধর্ষনের পর প্রাননাশের হুমকি দিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি আসামীগং ইন্টারনেটে আমার চরিত্র নিয়ে অপপ্রচার করার হুমকি দিয়েছেন। আমাদের কোন শক্তি নেই আল্লাহ্ আমাদের শক্তি, সত্য ঘটনায় নিয়ে মামলা দায়ের করেছি আইনে বিচার যা হবে তাই মেনে নিবো তবু অপরাধীদের সাথে আপোষ করবো না।
এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত ) মতিউর রহমান জানান, আসামীরা এলাকায় চলাফেরা করছে মর্মে এমন তথ্য পেয়ে সরেজমিনে আমিও গিয়েছিলাম অভিযুক্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত রবিবার সকালে পলাশবাড়ী উপজেলা কিশোরগাড়ী মৌজার জেএল নং-১ খতিয়ান নং- ১৭৫,দাগ নং-২৩০৩ জমি মোট ২৮ শতাংশ নালিশী জমিতে ২৫ এপ্রিল রবিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, এ জমিতে ধান রোপন করেন বেবী বেগম। র্দীঘ দিন হলো অন্যের দখলে থাকা জমিটি গতবার থানা পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে বেবী বেগম এরপর হতে সে ভোগদখল করে আসছে এবং উক্ত ধান রোপন করেন।
ঘটনার দিন ২০ হতে ২৫ ভাড়াটিয়া লোকজন লাঠি সোটা,দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। অত্র এলাকার সেচ মালিক জানান, তার নিকট হতে সেচ নেন বেবী বেগম তিনি এ জমির বৈধ মালিক। তবে একটি গং অসহায় এ নারীর পত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পতি জোড় পূর্বক দখল করে ভোগ করছেন একটি চক্র। জোড় পূর্বক ধান কেটে নিয়ে যাওয়ায় ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পলাশবাড়ী থানায় ১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা (নং-২৫, তাং-২৭/০৪/২০২১ইং) । এরপর এ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে ২৭ এপ্রিল বুধবার কথিত ২ হতে তিন জন সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের নাটক করে উক্ত ঘটনাকে মিথ্যা দাবী করে ।
১ নং আসামী জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডা পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধানের আপন বড় ভাই আব্দুর রহমানের ছেলে । চাচার দলীয় প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে গোটা ইউনিয়নে নানা ধরণের অন্যায় সাথে জড়িত কথিত যুবলীগ নেতা জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডা । স্থানীয়দের নিকট সে নিজেকে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বলে দাবী করেন । তার ফেসবুক আইডিতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহনের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান,প্রায় ১৮ বছর আগে ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি হয়েছে সেখানে তার কোন সদস্য পদও নেই।