রাজু হোসেনঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে বীরেন্দ্র ও পূর্ব বিঘা সংযোগ খালে মাটি ভরাট করে দখলে নিচ্ছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। খালটি ভরাট হলে বর্ষা মৌসমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। ফলে খালের পাশের প্রায় বিশ একর ফসলি জমি এবং সতাধিক পরিবার পানিবন্ধি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুত্রে জানায়, উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সংযোগ খালটি সরকারি খতিয়ানভুক্ত। পূববিঘা, শেখপুরা ও নোয়াগাও এলাকার কৃষকদের ফসলি জমির পানি নিস্কাশনের একমাত্র খাল এটি। গত এক সাপ্তাহ থেকে মজুমদার বাড়ির ডা: বেলায়েত হোসেন, ব্রিকফিল্ড ব্যবসায়ী আমির হোসেন ডিপজল, জাহাঙ্গীর মজুমদারসহ কয়েকজন তাদের পৈত্রিক সম্পতির খাল বলে ভ্যাকো ম্যাশিন দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করছে। গ্রামবাসী বার বার বাধা দিলে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে কাজ অভ্যাহত রেখেছে।
বিঘা গ্রামের বাসিন্ধা আবুল হোসেন, মনির হোসেন, শেখ রিয়াজ, ইসমাইল শেখ, মানিক, মুরাদ, আবুল কালাম শেখসহ কয়েকজন জানান, এই খালটি ভরাট করা হলে বৃষ্টির পানি আটকে গ্রামের নিছু এলাকার ঘর-বাড়ি এবং চাষীদের ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। সাথে সাথে ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তারা আরো জানান গ্রামের কৃষকদের ফসল ফলানো অনুপযুগী করতে মজুমদার বাড়ির লোকজন হিংসাত্ত্বক ভাবে খালে ভ্যাকো দিয়ে মাটি কেটে ভরাট করছে।
মাটি ভরাটকারী মজুমদার বাড়ীর ডা: বিল্লাল হোসেন জানান, এ খালটি আমাদের পৈত্রিক সম্পতির উপর দিয়ে গিয়েছে তাই আমরা মাটি দিয়ে খালসহ চারপাশ ভরাট করতেছি। এর ভিতরে পুকুর করে মাছের চাষ করবো।কাঞ্চুনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন জানান, বাধা অমান্য করে তারা সরকারি খালটি বরাট করছে। এতে যেমন ধানসহ বিভিন্ন চাষাবাদের ক্ষতি হবে, অন্যদিকে বর্ষাকালে ওই গ্রামের মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়বে। সবার সাথে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
রামগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ওই ইউনিয়নে কর্মরত ভুমি অফিসারকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেছি। সরকারি খাল দখল কৃষকের চাষাবাদের ক্ষতি করার কোন সুযোগ নেই। আমরা দখলকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।