জামাল কাড়ালঃ বরিশাল নগরী রুপাতলী বাজারে ঘুরে দেখা গেছে চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৫৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি। মৌসুমের শুরু থেকেই তরমুজের দাম চড়া। তবে রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে সবুজ তরমুজেও আগুন লেগেছে। যে আগুনে নিম্মমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার। অথচ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ইফতারের প্রধান উপকরণ হওয়ার কথা তরমুজ।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন বরিশালের বিভিন্ন শহরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে। ভালো মানের তরমুজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে ৫ কেজির একটি তরমুজের জন্য ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা! অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কেজি দরে বিক্রির কারণেই এমন দাম উঠেছে। এতো ভারী একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না।
প্রশ্ন উঠেছে, এতো দাম হাঁকানো তরমুজের উৎপাদক প্রান্তিক চাষিরা কেমন দাম পাচ্ছেন? তারা পাইকারি বিক্রেতা বা আড়তদারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করায় কি আজ তরমুজের বাজারে আগুন, দেখা গেছে বাজার গুলোতে মনিটরিং না থাকার কারনে ব্যাবসায়ীরা ক্রাতাদের কাজ থেকে অতিরিক্ত তরমুজের দাম নিচ্ছে। বিক্রয়তারা জানান আমাদের কাজ থেকে অতিরিক্ত চাদা নেওয়া হয়,যার কারনে আমাদেরকে বেশি বিক্রয় করতে হয়। রুপাতলী বাজারে এক হারুন নামে রিকসা চালক তরমুজ কিনতে গীয়ে হিমসিম খাচ্ছে।