নাহিদুল ইসলাম হৃদয়ঃ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আর্থিক লেনদেনের জের ধরে দৌলতপুর থানাধীন ধামশ্বর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ মিয়া কে গত ১/৫/২০২১ ইং রোজ শনিবার সন্ধা ৬ ঘটিকায় কাকরাইদ তিন রাস্তার মোড়ে একা পেয়ে গতিরোধ করে বেধরক মাইরপিট করে কাকরাইদ গ্রামের বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে রতন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জন।আহত সবুজের গলা হতে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন সহ তার সাথে থাকা দুই লক্ষ টাকার ব্যাগ এবং তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এ ব্যাপারে গতকাল রাতেই দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সংবাদ নিয়ে জানা যায়, সবুজের দায়ের করা উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৌলতপুর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সবুজের ছিনতাই হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারে কাকরাইদ গ্রামে অভিযান চালায়, অভিযান চালাতে গিয়ে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ি হতে উক্ত মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও আসামীরা পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফ জানান অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পেরেছি এবং আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অভিযাগকারী সবুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজনৈতিক বিরোধের কারণে ধামশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান তুলার সাথে তার বিরোধ চলে আসছে।
তিনি মাঝেমাঝেই আমার কাছে টাকা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান তুলা আমার ব্যবসা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন কাজে হস্তক্ষেপ এবং নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। গতকাল ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশেই আসামীরা আমার সহিত এই ঘটনা ঘটনোর সাহস পেয়েছে। চেয়ারম্যান সহ সকল আসামীদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন বলে জানান।