মঙ্গলবার , ৪ মে ২০২১ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. অলৌকিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত
  7. কবিতা
  8. করোনাভাইরাস আপডেট
  9. ক্যাম্পাস
  10. খেলাধুলা
  11. গনমাধ্যম
  12. চাকুরী
  13. জাতীয়
  14. ডেস্ক রিপোর্ট
  15. ধর্ম

সোনামসজিদ বন্দরে ২৩ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ আটক

প্রতিবেদক
এইচ এম ওবায়দুল হক
মে ৪, ২০২১ ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

হাসেম আলী হৃদয়ঃ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ বন্দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার পূর্বেই কোয়ারান্টাইন সনদ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা গেছে, আমদানি অনুমতি (আইপি) জাল করে পেঁয়াজ আমদানির কারণে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রায় ২কোটি টাকা মূল্যের ২৩ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ আটক করা হয়েছে।
আটককৃত পেঁয়াজের পরিমাণ ৭০০মেট্রিক টন। যার শুল্ক করের পরিমাণ ১৯লাখ ৪৬হাজার টাকা।রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দর শুল্ক বিভাগ রোববার অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ট্রাকভর্তি এসব পেঁয়াজ আটক করেন। আটক পেঁয়াজগুলি বর্তমানে বন্দর ইজারাদার পানামার ইয়ার্ডে রয়েছে।
এদিকে, বন্দর কাস্টমস বলছেন, ঘোষণা অনুযায়ী এসব পণ্য প্রবেশের জন্য আমদানি অনুমতির (আইপি) মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। আর কোয়ারান্টাইন সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে ২৯ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার।অন্যদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কোয়ারান্টাইন বিভাগ বলছেন, বন্দরে পণ্য প্রবেশের পর পণ্য দেখে কোরেন্টাইন সদন প্রদান করা হয়। কিন্তু বন্দরে কোনো পেঁয়াজ প্রবেশ না করার আগে কিভাবে কোয়ারান্টাইন সনদ দেয়া হয়েছে এনিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বন্দর সংশিষ্ট ও অন্যান্য পেঁয়াজ আমদানিকারকদের মাঝে।
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগের পরির্দশক পিযুষ কুমার বিশ্বাস জানান, বিএইচ ট্রেডিং নামের একটি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট কাম আমদানিকারক রোববার ২৩ ট্রাক পেঁয়াজ আনেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। ঘোষণা অনুযায়ী এসব পণ্য প্রবেশের জন্য আমদানি অনুমতির (আইপি) মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।তিনি জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক আইপি (ইমপোর্ট পারমিশন) জাল করে বন্দরে পেঁয়াজগুলি নিয়ে আসেন। আইপিতে গরমিল থাকায় শুল্কবিভাগ ২৩ ট্রাক পেঁয়াজ ছাড়করণে আপত্তি করেন। তারা পেঁয়াজগুলির আমদানির কাগজপত্র খতিয়ে দেখে আইপি জালের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
বন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, দেশি পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৬ জানুয়ারি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় শুল্কে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া বন্ধ করেন। তবে এই ঘোষণার আগেই যেসব আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির আইপি পেয়েছিলেন তাদের পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি। আমদানিকারক দুরুল হাসান বাবুলের আমদানি অনুমতিপত্রের মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে, তিনি তার অনুমতিপত্রের ফটোকপিতে ৩০ এপ্রিলের স্থলে দুই মাস লিখে নিয়ে কাস্টমসে নথিপত্র জমা দেন পণ্য ছাড়করণের জন্য। শুল্ক বিভাগ তার মুল অনুমতিপত্র যাচাই করে দেখতে পান আইপি জালিয়াতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শুল্ক বিভাগ তার পেঁয়াজগুলি আটক করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আমদানিকারক তার আইপির মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়ে দেখিয়ে আরও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি কম দামে দেশে পেঁয়াজ এনে বিপুল মুনাফা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ বিএইচ ট্রেডার্সের মালিক দুরুল হাসান বাবুল বলেন, তার আইপির মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল। তবে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার ও পরেরদিন ১ মে সরকারি ছুটির দিন থাকায় তিনি পেঁয়াজগুলি ভারত থেকে বন্দরে আনতে পারেননি। এ কারণে তিনি ২ মে পেঁয়াজগুলি এনেছেন। তবে তার আইপিতে ৩০ এপ্রিলের জায়গাতে কেটে দিয়ে দুই মাস করার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
অন্যদিকে সোনামসজিদ শুল্ক কর্মকর্তারা মমিনুল ইসলাম জানান, ছুটির দিনের কারণে পেঁয়াজ প্রবেশের সমস্যা এটি নয়। তেমনটা হলে তারা পণ্য ছেড়ে দিতেন। কিন্তু এখানে আইপির মেয়াদ কেটে সময় বাড়ানোর মতো জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এটা করা শুল্ক আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক পেঁয়াজগুলি বর্তমানে পানামাতেই আছে।

সর্বশেষ - আলোচিত

Design and Developed by BY REHOST BD