নাহিদুল ইসলাম হৃদয়ঃ মানিকগঞ্জ সদর পৌরসভার চর বেউথা গ্রামের ইঞ্জিনচালিত অটো রিক্সা মেকানিক মোঃ আলমগীরের মেঝ মেয়ে লাকী আক্তার (২০) কে সিংগাইর উপজেলার মৃত বিশা মিয়ার পুত্র তারা মিয়া (৩০) এর সাথে পারিবারিক ভাবে এক বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়।তারা মিয়া বিয়ের পরে বিদেশ চলে যায়,, এর পরে দেশে ফিরলে তার স্ত্রী লাকি আক্তার কে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে কাউকে না জানিয়েই মানিকগঞ্জ আদালত থেকে উকিলের মাধ্যমে তালাক প্রদান করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে লাকির পিতা স্থানীয় বলধরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর মাজেদ খান এর নিকট বিচার প্রার্থনা করলে বেশ কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই পক্ষের সাথে বসলেও সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী লাকি আক্তার গত ০৩ মে ২০২১ তারিখ সমবার তার স্বামীর বাড়ী’তে গেলে সেখানে স্বামী ও শ্বাশুরীর নির্যাতনের শিকার হয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎস্বাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লাকি আক্তার সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার তালাকরে ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তার স্বামী তাকে না জানিয়ে তালাক দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তিনি তার স্বামীর বাড়ীতে গেলে তার স্বামী এবং শ্বাশুরী তার উপর শারিরিক নিযাতন করে। তিনি আরো বলেন যদি ঘটনাটি জানাজানি হয় তাহলে তার বিভিন্ন খারাপ ছবি ইন্টারনেটে ছরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তার স্বামী ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বড় বোন আখি আক্তার জানায়, বারবার বিচার চেয়ে না পাওয়ার পরে আমি আমার বোনকে নিয়ে তার স্বামীরবাড়ীতে দিয়ে আসি সেখানে রেখে আসার পরে আমার বোনকে তার স্বামী এবং তার বাড়ীর লোকজন হামলা করেছে।এ ব্যপারে অভিযুক্ত তারা মিয়ার সাথে তার মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনার সময় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। আর সাংবাদিকদের সাথে তিনি ফোনে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে সংযোগটি কেটে দেন।
ঘটনার ব্যপারে ভুক্তভোগীর পিতা বলেন, ঘটনাটি নিয়ে আমরা কয়েক বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট বিচার প্রর্থনা করেছি,, কিন্তু কোন সমাধান না হওয়ায় আমার মেয়ে তার স্বামীর বাড়িতে গেলে সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার প্রার্থনা করছি। এবং আমি খুব দ্রুত দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।