আইসিসির সেরা খেলোয়াড় মেয়েদের বিভাগে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কারের জন্য তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন কুলিয়ারচরের মেয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার। নভেম্বর মাসের সেড়া খেলোয়াড় পুরস্কারে মনোনীত হওয়া বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার তিনি। তালিকায় জায়গা পাওয়া অন্য দুজন হলেন পাকিস্তানি বোলার আনাম আমিন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার হেইলি ম্যাথুস।
‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হওয়ার লড়াইয়ে থাকা টাইগ্রেস বোলার নাহিদা আক্তার জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১১টি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে এক ম্যাচে ৫ উইকেট দখল করেছেন । পরে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরুর করেন। সেই ম্যাচেও নিয়েছেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। নাহিদা আক্তার ১০ ওভার বল করে ২৫ রান খরচায় পাকিস্তানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। এর মধ্যে একটি মেডেন ওভার ছিল। ম্যাচে নাহিদার বোলিং ফিগার ১০-১-২৫-২।
জিম্বাবুয়ে সফরে নাহিদা আক্তারের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সই ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হওয়ার লড়াইয়ে তাকে এগিয়ে দিয়েছে। ২১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার শিকার ২৭ উইকেট। ইকোনমি গড় ৩.১৬। সেরা বোলিং ৫/২১। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় নাহিদা আক্তারের। ২০১৮ সালের জুনে নাহিদার মিতব্যয়ী বোলিংএ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ। যা ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম কোন টুর্নামেন্ট শিরোপা।
নাহিদা আক্তারের বোলিং জাদুতে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর এস এ গেমস ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ে স্বর্ণ জয় করে বাংলাদেশ নারী দল। অন্যদিকে নাহিদা আক্তারের ৪১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৩.৪২ গড়ে তার শিকার ৫০ উইকেট। ইকোনমি গড় ৪.৯৮। সেরা বোলিং ৪/১১। ২০২০ সালের ২ মার্চ নিজের ২১তম জন্মদিনে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন নাহিদা আক্তার।
নাহিদা আক্তারের জন্ম ২০০০ সালের ২ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ হামজু ভূঁইয়া। বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকায়। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচীতে অনুষ্ঠিত খেলায় আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় নাহিদা আক্তারের।