আবুল হাসানঃ উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় চিনা বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক। বাদাম চাষে লাভের মুখ দেখছেন তারা। ‘বিঘাপ্রতি বাদাম আবাদে খরচ হয় ৬ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় বাদাম উৎপাদন হয় ৬ থেকে ৭ মণ। প্রতিমণ বাদাম দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি হলে মোট বিক্রি ১২ হাজার টাকা। এতে খরচ বাদে লাভ হয় ৬ হাজার টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার শীতকালীন মৌসুমে বাদামের আবাদ হয় ২৯৬ হেক্টর জমিতে । এথেকে বাদাম উৎপাদন হয়েছে ৪৭ মে.টন। আর গ্রীষ্মকালীন বাদামের আবাদ হয়েছে ৩৩২ হেক্টর জমিতে আর বাদাম উৎপাদন হবে ৬১২ মেটন। কৃষি বিভাগ বলছে, এই জেলার মাটি বাদাম চাষের উপযোগী।
সেচ, সার, বালাই নাশক ওষুধ খুবই কম লাগে। তাই কৃষকদের বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করছে হচ্ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় বিশেষ করে সদর উপজেলায় এবার বাদামের ব্যাপক চাষ হয়েছে। দাম ও ফলন দুটোই ভাল হওয়ায় কৃষকদের বাদাম চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে।