শনিবার , ৮ মে ২০২১ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. অলৌকিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত
  7. কবিতা
  8. করোনাভাইরাস আপডেট
  9. ক্যাম্পাস
  10. খেলাধুলা
  11. গনমাধ্যম
  12. চাকুরী
  13. জাতীয়
  14. ডেস্ক রিপোর্ট
  15. ধর্ম

শেরপুরে ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিবেদক
এইচ এম ওবায়দুল হক
মে ৮, ২০২১ ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ

 মেহেদী হাসানঃ শেরপুরে ডিলার কর্তৃক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড থাকলেও চাল না পাওয়ার অভিযোগ করছেন সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন কার্ডধারী। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ডিলার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সদর উপজেলার ১ নং কামারের চর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী নাছিমা খাতুন (কার্ড নং -৬৭১) অভিযোগ করে বলেন, হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড থাকলেও আমরা চাল পাই না। তালিকায় অনেকের নাম থাকা স্বত্ত্বেও এই ইউনিয়নে দায়িত্বরত ডিলার কার্ড বিতরণ না করে দীর্ঘদিন যাবৎ গরীবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাত করে আসছে। শুধু তাই নয় ডিলার জাকির হোসেন মিথ্যা কথা বলে অনেকের কার্ড জমা রেখে পরবর্তীতে নিজেরাই সাক্ষর দিয়ে চাল উঠিয়ে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ তার।
আরেক ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন (৫০) জানান, আমার নামে কার্ড হলেও ডিলার বলে যে কার্ড নাই। এরপর উনার কাছে বারবার তাগাদা দিলে বলে আপনার নামে কার্ড হয়েছে কিন্তু তা হারিয়ে গেছে। দেলোয়ার আরও অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরীব তাই বাধ্য হয়ে বারবার ডিলার জাকিরের কাছে গেছি। তখন ডিলার জানিয়েছেন থানায় জিডি করতে হবে তারপর জেলা খাদ্য অফিসে জিডির কপি দিতে হবে এরপর কার্ড। বাপু আমরা মূর্খ মানুষ থানা পুলিশ অতদূর কি বুঝি।
স্থানীয় বিধবা আলেছা বেগম জানান, ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড আমার নামেও হয়েছিল। কিন্তু ডিলার সেটি চুরি করে সরিয়ে রেখেছিল। বিগত দেড় বছর থেকে অভাবের তাড়নায় তার কাছে গিয়েছি কার্ডের জন্য। কিন্তু ডিলার এক একসময় নানা ধরনের আশ্বাস দিয়ে আমাকে ঘুরিয়েছেন। কখনও বলেছেন দুপুরে, কখনো বিকেলে আবার কখনও বলেছেন সন্ধায় আসতে। শুধু তাই না আমার কাছ থেকে কার্ড বাবদ ৭০০ টাকাও নিয়েছে। এখন কার্ড ও টাকা ফেরত চাইলে মারতে আসে।
এ বিষয়ে চাল বিতরণকারী তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদ বলেন, ঘটনার সত্যতা আমিও পেয়েছি। আমাকে অনেকে ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছেন যা আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।ডিলার জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের অনেকের কার্ড হারিয়ে গিয়েছে।এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বলেন, ডিলার জাকিরের বিরুদ্ধে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং আমি এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি।

সর্বশেষ - আলোচিত

Design and Developed by BY REHOST BD