শাহীন আলমঃ সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর আনোয়ারপুর এলাকায় মোদেরগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফ বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন এবং নদীর পাড় কেটে প্রতিদিন ২০/৩০ বলগেট নৌকা দিয়ে কয়েকলাখ উত্তোলনে অতিষ্ট স্থানীয় জনসাধারন। মো. আব্দুল লতিফ ইউনিয়নের মোদেরগাওঁ গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে। তার অত্যাচারে অসহায় নিজ গ্রামসহ আশপাশের নিরীহ লোকজন।
এই লতিফের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতিসহ নারী নির্যাতনের একাধিক মামলা রয়েছে। তার অপক¤্ররে বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে ভয়ে মামলা করার সাহস পাচ্ছেন না। সে নিরীহ মানুষজনের জায়গা জোরপূর্বক দখল করার ও অভিযোগ রয়েছে ঐ সমস্ত জায়গাতে ঘর নির্মাণ ও করছেন। স্থানীয়রা জানান, মোদেরগাওঁ গ্রামের মো. আব্দুল লতিফ মিয়ার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেটচক্র প্রতিরাতে ২০/৩০টি বলগেট নৌকা নিয়ে নদীর পাড় কেটে আনুমানিক ৭/৮ লাখ টাকার বালু নিয়ে যাচ্ছেন ফলে অল্পদিনেই আঙ্গুল ফুলে গলাগাছ বনে গেলে ও দেখার যেন কেহ নেই। এই আব্দুল লতিফ গত দিন পূর্বে মোদেরগাঁও গ্রামের এক নিরীহ ব্যবসায়ী হুমায়ূনের নিকট ত্রিশহাজার টাকা চাদাঁ বাদি করলে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় লতিফসহ তার বাহিনীর সদস্যরা মিলে তাকে বেদড়ক পিঠিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে দেয় বলে ও অভিযোগ রয়েছে। সে মোদেরগাওঁ গ্রামের গিন্দু মিয়ার ছেলে।
সে বর্তমানে ময়মনসিংহ চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করলেও লতিফ বাহিনীর হুমকি দামকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। লতিফ বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের নিকট দাবী জানান আহত জাবেদের পরিবার ও তার স্বজনেরা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আব্দুল লতিফের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য
জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, এই লতিফ বাহিনীর নদীর পাড় কেটে বালু নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য থানা পুলিশের তরফ থেকে পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী দেন তিনি।