আমিনুল পলাশঃ করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব অনটনে রয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অনেকেই।
চক্ষু লজ্জায় হাত বাড়াতে পারছেনা বলে নিরবে কষ্ট সয়ে যাচ্ছেন অনেক পরিবার। এমন সাময়িক অসহায় পরিবারের সহায়তার ঘোষণা পেয়ে ফোন/এসএমএসে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েই মূহুর্তেই বুঝে পাচ্ছেন প্রয়োজনিয় খাদ্য সামগ্রী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর বলেন ,প্রতিনিয়ত ৮/১০ জনের ফোন/এসএমএস আসে যারা খাদ্য সামগ্রীর অভাবে সাময়িক কষ্ট করছেন। অনেকে সরাসরি উপজেলা কার্যালয়ে আসছেন সহায়তার আশায়।অনেকে চক্ষুলজ্জায় উপজেলা ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ দিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি কেউ যেনো খালি হাতে ফিরে না যায়।
তিনি আরো বলেন,মফস্বলের সকল তথ্য আদের কাছে আসেনা,তাই হয়ত অসহায় সকলের পাশে দাড়ানো আমাদের পক্ষে সম্ভবহয়ে উঠেনা।যারা সমাজের বৃত্তবান আছেন উনারা যদি প্রত্যেকে অসহায়দের পাশে দাড়ান তাহলে হয়ত প্রতিবেশিরা আরেকটু ভালো থাকতে পারবেন।আমরা চাই সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের মুখে হাসি ফুটুক। এসময় করোনার প্রভাবে কোম্পানীগঞ্জের কোথাও কেউ খাদ্য সংকটে থাকলে উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ জানান নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জের ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নের ১৭৪৫৫ পরিবারের জন্য ভিজিএফ ও জিআর হিসেবে যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নে তার বিতরণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকৃত অসহায় মানুষ যাতে এই সহায়তা পান ইউপি চেয়ারম্যানদের সে ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে কোন মানুষই না খেয়ে থাকবেনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর।