মেহেদী জামান আনন্দঃ ৭০ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা জোটেনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি গ্রামের মৃত আপান আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেওয়ার কপালে। কোনো রকমে লাঠিতে ভর দিয়ে ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করছেন।
এক ছেলে ও দুই মেয়ের জননী ফাতেমা বেওয়া। স্বামী বেঁচে থাকতেই ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বউ বাচ্চা নিয়ে আলাদা থাকে ছেলে। সংসারে বিবাদ হওয়ায় এক ছেলেসহ দুই বছর ধরে বৃদ্ধা মায়ের বাড়িতে থাকে ছোট মেয়ে মিনু বেগম। মিনুর দিনমজুরির রোজগার আর ফাতেমা বেওয়া ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়েই খেয়ে না খেয়ে জীবন চলে তাদের। কিন্তু শতকষ্টের মাঝে বেঁচে থাকলেও ফাতেমা বেওয়ার কপালে জোটেনি বয়স্ক ভাতা।
ফাতেমা বেওয়া জানান, মোর (আমার) জীবনটা অভিশপ্ত বাহে। সরকার গরিব মানুষকে পাকা ঘর দিবার নাইগছে। কিন্তু মোর বয়স ৭০ বছর হইল তাও কপালোত ভাতা, ঘর কোনটাও জুটলো না বাহে! মুই মরলে সরকার বয়স্ক ভাতা দিবে। বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান, তিনি কীভাবে বয়স্ক ভাতা থেকে বাদ পড়লেন বুঝলাম না। যাতে তিনি এই অর্থ বছরেই বয়স্ক ভাতা পান সে ব্যবস্থা করা হবে।