আজ ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিন বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি পরে বাস পরিবর্তন করে গন্তব্য স্থানে যাচ্ছে যাত্রীরা। যার কারনে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে এই সব রুটেে যাত্রীদের।।জানা গেছে বাসচালককে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বরিশাল খুলনাসহ ৭ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস শ্রমিকরা। বুধবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে এই ধর্মঘট চলছে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. হান্নান শেখ।
পিরোজপুর ও ঝালকাঠির বাস শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আহত পিরোজপুরের বাসচালক অরবিন্দ কুমার দাস জানান, বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে এসে মঠবাড়িয়া থেকে প্রতিদিনই খালি বাস নিয়ে যায় এবং পথ থেকে যাত্রী তোলে ঝালকাঠির বাসের স্টাফরা। এটা করার নিয়ম নাই। বারবার নিষেধ করলেও তারা এটা করে আসছে। বিষয়টিতে আমি বাধা দেওয়ায় মঠবাড়িয়া থেকে গাড়ি নিয়ে যখন বরিশাল যাচ্ছিলাম তখন ঝালকাঠিতে পৌঁছালে আমাকে ধরে নিয়ে অফিস কক্ষে আটকে রাখে। পরে বাসচালক সুমনের নেতৃত্বে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারসহ আরও কিছু লোক আমাকে মারধর করে ও আমার সঙ্গে থাকা নগদ ৩৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বরিশাল রুপাতলী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, মঙ্গলবার পিরোজপুর ও ঝালকাঠির শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির খবর শুনেছি। বুধবার সকালে বরিশালের বাস বেকুটিয়া ফেরিঘাট থেকে ফিরিয়ে দেয় পিরোজপুরের বাস শ্রমিকরা। এরপর থেকেই বরিশাল থেকে খুলনাসহ সাত রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।