মঙ্গলবার , ১১ মে ২০২১ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. অলৌকিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত
  7. কবিতা
  8. করোনাভাইরাস আপডেট
  9. ক্যাম্পাস
  10. খেলাধুলা
  11. গনমাধ্যম
  12. চাকুরী
  13. জাতীয়
  14. ডেস্ক রিপোর্ট
  15. ধর্ম

কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় দিন যতই গড়াচ্ছে,উত্তরবঙ্গগামী মানুষের জটলা বেড়েই চলছে।

প্রতিবেদক
এইচ এম ওবায়দুল হক
মে ১১, ২০২১ ৯:৪৭ অপরাহ্ণ

সালাহ উদ্দিন সৈকতঃ বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে হলে চন্দ্রা ত্রিমোড় ব্যবহার করতে হয়।এজন্য উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়।ঈদ কিংবা বিশেষ কোনো ছুটিতে উত্তরবঙ্গের মানুষ বাড়িতে যাওয়া–আসার সময় চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যানজটে আটকা পড়ে নাজেহাল হয়নি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন।সেই চিরচেনা যানজট এবার নেই।তবে যানবাহন চলাচলে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় চন্দ্রা ত্রিমোড়ে সৃষ্টি হয়েছে মানুষের জটলা।
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় শত শত ঘরমুখী মানুষ যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। করোনা নিয়ে তাদের মধ্যে তেমন সচেতনতা নেই।সামনে খালি যে যানবাহন পাচ্ছেন,তাতে উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।কেউ ট্রাকে,কেউ মাইক্রোবাসে,কেউবা মোটরসাইকেল ভাড়া করে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন।কাউকে কাউকে পায়ে হেঁটেও যেতে দেখা গেছে।
বাসন এলাকার কলম্বিয়া  কারখানার স্টাফ সুজন চাকরির কারণে থাকেন বাসন এলাকায়। সাহ্‌রি খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে অটোরিকশায় ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে চন্দ্রা এসেছেন।তিনি যাবেন বগুড়ার মাটির ঢালী এলাকায়।চন্দ্রায় এসে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন,কোনো যানবাহন পাচ্ছেন না।কীভাবে যাবেন,জানতে চাইলে বলেন, ‘একটা উপায় হয়ে যাবে।বাস যদি না পাই,তাহলে ট্রাকে উঠে চলে যাব।বাড়িতে গিয়ে মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করব,এর চেয়ে আনন্দের আর কী আছে। করোনায় যা হয় হবে।
কোনাবাড়ি এলাকার মন্ডল  কারখানা শ্রমিক হামিদ মিয়া  হোসেন বলেন,‘১০ দিনের ছুটি পেয়েছি।এত দিন এখানে থেকে কী করব? তাই যেভাবেই হোক বাড়িতেই যাব।’কারখানা শ্রমিক শরীফ আক্তার বলেন,‘চাকরির কারণে বেশির ভাগ সময় বাড়িতে যেতে পারি না।তাই বলে ঈদের সময় বাড়ি যাব না,তা কি হয়!
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,”ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের ওপর দিয়ে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।তবে লোকাল যাত্রীবাহী বাস,কিছু ট্রাক-পিকআপ ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন না পেয়ে মানুষের জট লেগে আছে।আজ সকাল থেকে ওই জট শুরু হয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়তে থাকে। কারখানাগুলোতে প্রথমে ছুটি ছিল তিনদিনের।কিন্তু এখন তাঁরা আন্দোলন করে ১০ থেকে ১২ দিন করে ছুটি আদায় করছেন।
পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর।তাতে ধারণা করা হচ্ছে,বিকেলের পর থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখী মানুষের চাপ কয়েক গুণ বাড়বে।মহাসড়কে যানবহনের কোনো জটলা যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।আগের মতোই চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।সালনা হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা মীর গোলাম মোহাম্মদ ফারুক বলেন,”মহাসড়কে একাধিক দল কাজ করছে।মহাসড়কে কোনো যানজট নেই,তবে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখী মানুষের অনেক ভিড়।

সর্বশেষ - আলোচিত

Design and Developed by BY REHOST BD