মাসুদ রেজাঃ সিরাজগঞ্জের সকল মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা। সংক্রমণ ও মৃত্যুর আশঙ্কাজনক ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ঘোষিত এবারের লকডাউন সর্বোচ্চ কঠোরতার দাবি রাখলেও বাস্তবের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই দেশের দোকান-শপিং মলগুলো খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঈদকে সামনে রেখে লোকসানের কথা বিবেচনা করেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিন্তু কোথায় সেই স্বাস্থ্যবিধি? আর কোথায় সামাজিক দূরত্ব? সিরাজগঞ্জের মার্কেটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মধ্যেই এই বিষয়টি উপেক্ষিত। এক দিকে উপচে পরা ভিড় অন্যদিকে তাদের এমন উদাসিনতা দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে এখন করোনার প্রকোপ চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের একটি অংশ মাস্ক ব্যবহার করলেও সরকারের জুড়ে দেয়া স্বাস্থ্যিবিধির তোয়াক্কাই করছেন না তারা।
মঙ্গলবার (১১ মে) কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদের কেনাকাটা করতে উপজেলা শহরের মার্কেটগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচে পরা উপস্থিতি। তবে দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর হওয়ার কথা থাকেলেও আজও মার্কেট-শপিংমলগুলোর একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার কথা থাকলেও সেটির দেখা মেলেনি।মার্কেট ছাড়া ফুট পাথের দোকানগুলোও একই অবস্থা।সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বলা হলেও সেটি একেবারেই দেখা যায়নি। মার্কেট কতৃপক্ষ সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে।
বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা ঠিকভাবে মাস্ক পরছেন না। একজন আরেকজনের গায়ে গা লাগিয়েই করছেন ঈদের কেনাকাটা। অনেকেই ছোট ছোট বাচ্চা নিয়েও এসেছেন। শপিং মলগুলোর প্রবেশ পথে কিছুটা মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলেও ভেতরে তার বালাই নেই। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মার্কেটগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি।
স্বাস্থবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে, ক্রেতারা বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখাচ্ছন। কেউ বলেছন, সন্তানের জোরাজুরিতে এসেছেন তো কেউ বলেছন ঈদের সময় বাবা মাকে কিছু না দিলে কেমন দেখায়। আবার অনেকেই অতি প্রয়োজনের কথা উল্লেখ্য করেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেন জানেত চাইলে তারা বলেন, দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকা কষ্টকর।এমন পরিস্থিতির কারণে বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন ঈদের পরে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা বলাই মুশকিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকেও বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।