সালাহ উদ্দিন সৈকতঃ রমজান মাস প্রায় শেষ।তাই স্বল্প আয়ের মানুষ প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই ঈদুল ফিতরের আগে তাই ভিড় করছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এবারের ঈদে ফুটপাতের দোকানীদের বেচা-বিক্রি অপেক্ষাকৃত ভালো।বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের কেনাকাটার প্রধান পছন্দের জায়গা হলো ফুটপাতের বাজার।বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার কালিয়াকৈর বাজার,শফিপুর বাজার,মৌচাক বাজার,পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ফুটপাতেও জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা।
উপজেলার সফিপুর রহিম সুপার মার্কেটের সামনে দেখা যায়,মার্কেটের ভেতরের চেয়ে রাস্তার মাঝখানের ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি।ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের সফিপুর ফ্লাইওভারের নিচে খালি ফুটপাতগুলো এখন গমগম করছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায়।শত শত মানুষ ফুটপাতে ভিড় করছেন তুলনামূলক কম দামে তাদের পছন্দসই পণ্য কেনার জন্য।
শফিপুর বাজারের ফুটপাতে শাহীন নামে এক বিক্রেতা আমাদেরকে জানান,বেচা বিক্রি ভালোই হবে ইনশাআল্লাহ।সকাল থেকেই ভালোই ক্রেতা আসতে শুরু করেছেন।এদিকে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় সামাদ নামে ফুটপাতের আরেক বিক্রেতা বলেন,আমরা দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছি না।ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বেচা বিক্রিও ততই বাড়ছে।তবে সফিপুর ফুটপাতের অনেক ব্যবসায়ী দাবি করেন,করোনার মধ্যেই তাদের বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে।মানুষের হাতে টাকা না থাকায় বেচাবিক্রি কম হচ্ছে।ভিড় বেশি,কিন্তু বেচা বিক্রি কম।তাই অনেকটা হতাশার মধ্যে দিন পাড়ি দিচ্ছি।
রফিকুল নামের আরেক ব্যবসায়ী আমাদেরকে বলেন অন্যান্য বছর ঈদের আগে কথা বলার সময় পাওয়া যেত না। এক কথায়,এক দামে বিক্রি হতো,কিন্তু এইবার মানুষ শুধু দেখে চলে যায়।বেচা-কেনা তো আগের মত হয় না।পোশাক কারখানায় কর্মরত আলেয়া আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন,সস্তা মনে হলো,তাই ফুটপাত থেকে বাচ্চাদের জন্য জামাকাপড় কিনলাম।এবার ঈদে তেমন কিছু কেনার ইচ্ছা ছিল না।
অনেক ব্যবসায়ীরা ধারনা করছেন,দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদে গ্রামে ফিরছে না অনেক মানুষ।এজন্য তারা কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন। তবে মানুষ যদি গ্রামে যাইত তাহলে ফুটপাতে বিক্রি আরও অনেক ভালো হইতো।তবে,সব মিলিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাধ্যের মধ্যে সেরা জিনিসটা খোঁজার জায়গা হচ্ছে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলো।