মনিরুজ্জামানঃ কুমিল্লার হোমনায় রামকৃষ্ণপুর বাজারে অগ্নিকাডে ৪৫ টি দোকান পুড়ে গেছে, এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো ৩০টি দোকান। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় দিকে এই অগ্নিকাডের ঘটনা ঘটে ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চান্দের চর ইউনিয়ন রামকৃষ্ণপুর বাজারের একটি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার থেকে এ অগ্নিকাডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে হোমনা, মুরাদনগর ও বাঞ্ছারামপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রায় ৬ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, এ সময় চাউলের দোকান, ফার্মেসি, তেলের দোকান,কাপড়ের দোকান সহ৪৫ টি দোকান আগুনে পুড়ে যায়, এবং ৩০টি দোকান ক্ষতি গ্রস্থ হয় । এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজারে ব্যবসায়ীরা।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে, ওসি আবুল কায়েসআকন্দ, পিআইও মুহাম্মদ নাহিদ আহাম্মেদ জাকির ঘটনা স্থল
পরিদর্শন করেছেন ।বাজারের চাল ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির জানান, আমার সব শেষ হয়ে গেছে দোকানে ২২ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল এখন আমি পথে বসে গেছি, আগুনে আমার শেষ করে দিল। রামকৃষ্ণপুর বাজার কমিটির সভাপতি ও চান্দের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মোল্লা জানান মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অগ্নিকাডের ঘটনা ঘটে প্রায় ৪৫ টি দোকান পুড়ে গেছে,চাউল দোকান, ফার্মেসি, কাপড়ের দোকান রয়েছে, এর মধ্যে চাল দোকান বেশি প্রায় কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হোমনা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ওসমান গনি জানান, রামকৃষ্ণপুর বাজারে অগ্নিকাডের খবর রাত বারোটার সময় পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি আগুনের ভয়াবহতার কারণে মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে অসে। হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে জানান, ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণে কাজ করছি প্রাথমিকভাবে ৪০/৪৫ টির বেশি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে ফায়ার সার্ভিস আমাদেরকে জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হলে তাদের আমরা সাহায্য দিতে পারব।