মোয়াজ্জেম হোসেনঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকাল সাড়ে সাতটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া পটুয়াখালী জেলার ৩ হাজার ৮ শ’ ৯৩ টি জামে মসজিদে এবং উপজেলার সবগুলো মসজিদে সাড়ে আটটার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কোন ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। নামাজ শেষে সকল মসজিদে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষার্থে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই পাড়া মহল্লায় যুবক ছেলেলা পটকা ফুটিয়ে ঈদের আগাম জানান দিতে থাকে। বিপনি বিতান সহ মহল্লার দোকান গুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভীড়।ঈদের দিন সকাল থেকেই উপজেলার প্রতিটি গ্রাম থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। অনেকেই বাড়িতে আয়োজন করেছেন মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন বাহারী খাবার। সকাল থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা পাজামা পাঞ্জাবি পরে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে ছুটে চলেন। এতে বাদ যায়নি শিশুরাও। নামাজ শেষে প্রতিবেশী এবং আত্নীয়দের বাড়িতে দেখা করে মিস্টান্ন সহ নানান ধরনের খাবার খেতে দেখা গেছে। এরপর সারাদিন আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘোরাঘুরি সহ আনন্দের মধ্যেই ঈদ কটবে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
এতিমখানা জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা বিল্লাল খান কাবুল জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে মলিদা খেয়ে নামাজ আদায় করতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, করোনা দূর্যোগের কারণে দুটি বছর ধরে সীমিত পরিসরে ঈদ পালন করছি তবুও আনন্দের কোন কমতি নেই।কলাপাড়া কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মো. সাইদুর রহমান জানান, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে আজ মুসলমানদের খুশির ঈদ। এই দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল নামাজ আদায় করে সৃষ্ঠিকর্তার কাছে কিছু চাইলে তিনি বান্দার গোনাহ মাফ করে দেন।