শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব খড়িয়া গ্রামে অবস্থিত নুরে হেরা নুরানি তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সোমবার দেরি করে মাদ্রাসায় যাওয়ার অপরাধে এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে উঠেছে উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক আমানুল্লার বিরুদ্ধে। গত সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত ছাত্রকে সোমবার রাতে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্র (১৫) উক্ত মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়তেন। স্বজনদের অভিযাগ, সোমবার সকালে মাদ্রাসায় যেতে পারেনি সে। দুপুরে মাদ্রাসায় গেলে দেরি করে যাওয়ার অপরাধে মাদ্রাসার একজন সহকারী শিক্ষক বেত দিয়ে ছাত্রটিকে মারধর করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতে স্বজনেরা ছাত্রটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সুরুজ্জামান বলেন, ওই ছাত্রের হাত ও পিঠে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত। আহত মাদ্রাসা ছাত্রের বড় ভাই এ ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছে৷ শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি তাঁরা শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷