পেকুয়া প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মগকাটা গ্রামের এক অসহায় ও এতিম মহিলার টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ওই মহিলা ১৭ মে পেকুয়া থানায় অভিযোগ প্রদান করেন।
জানা যায়, পেকুয়া সদরের মগকাটা গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের মেয়ে মুন্নি আক্তারের সাথে একই গ্রামের মৃত রাজা মিয়া ফকিরের ছেলে মো: সেকান্দরের মধ্যে বিগত ২১-১০-১৯ ইং তারিখে স্ট্যাম্পমূলে (সত্তর হাজার টাকা) মূল্যের চল্লিশ শতক(এককানি) জমি বন্ধকের চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়। অভিযোগ উঠেছে চুক্তিনামা হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি বিবাদী মো: সেকান্দর কোন খাজনা পরিশোধ করেন নাই।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বিবাদীগন উক্ত বিষয়ে সমাধা করে দেওয়ার জন্য বর্তমান পেকুয়া বাজার ঋণদান সমিতির সদস্য শামশুল আলমকে বিচার করে দেওয়ার জন্য বলে। এ বিষয়ে বাদীপক্ষ ও বিবাদীপক্ষের লোকজনসহ ১৯-০৫-২১ইং সকালের দিকে উক্ত বিষয়ে চুড়ান্ত বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিচারক শামশুল আলম, ৩ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মো: মান্নান, মো: জাহাঙ্গীর, আলমগীর, মো: হারুন, মো.আজম,মো.করিম বিবাদী পক্ষের হেলাল প্রমুখ। মগকাটা গ্রামের শাহিদা বেগম, খালেদা বেগম জানান, ওই এতিম মহিলা মুন্নি আক্তারের পাওনা টাকা খুঁজলে বিবাদী সেকান্দর নানা হুমকি ধমকি প্রদান করতো। এর সুত্র ধরে গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে স্বামী ফজুল করিমকে মারধর করে সর্বশরীরে জখম করে। গত ১৬ মে একইভাবে মারধর করে আহত করে। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
এ দিকে বাদী মুন্নী আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আমার পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য বিবাদী সেকান্দর নানা ধরনের কৌশল বের করছে। মঙ্গলবার সাড়ে ১২ টার দিকে পেকুয়া বাজারে সেকান্দরের ভাই নওশা মিয়া নিজের হাতকে রক্তপাত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্টার চেক করলে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সেকান্দরের ভাই হেলাল জানান, হয়ত তার অসুখ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। টাকা লেনদেনের বিষয়ে বুধবার শামশুল আলমের বাড়িতে চুড়ান্ত ফায়সালা করার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে বিচারক শামশুল আলম জানান, সেকান্দরের ভাই আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তাদের বিষয়টি আমি বিচার করে দেব বলে আশ্বাস দিয়েছি।