এম এ সাঈদঃ “জ্বিনের বাদশার প্রতারণা বন্ধ হলেও এবার নতুন প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বয়স্ক ভাতা” রাত যতই গভীর হয়, জিনের বাদশাদের ফোনকল ঢুকতে শুরু করে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন সহজ-সরল লোকজনের মোবাইলে, নিজেদেরকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জিনের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা দিয়ে সম্পদশালী করার লোভ দেখিয়ে গ্রামীণ জনপদের সাধারণ সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছিল কোটি কোটি টাকা।
এরূপ ফাঁদে পা দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি পাস করা মেয়ে সহ হাজারো সহজ সরল মনের মানুষ। এক পর্যায়ে জানাজানি হতে হতে সারাদেশে সকল মানুষ যখন বুঝতে পারে জিনের বাদশা আসলে কাউকে সম্পদশালী করে না বরং ধোকা দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে তখন থেকে বন্ধ হয়ে যায় জিনের বাদশার প্রতারণা ব্যবসার ফাঁদ। এই প্রতারক চক্র তাতে থেমে থাকেনি, কৌশল বদলে এবার কোমলমতি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং বয়স্ক ভাতা সহ সরকারের নানান আর্থিক সুযোগ-সুবিধা যা মোবাইলের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানো হয়, তাতেও সুকৌশলে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতারক চক্র।
তারা ভাতা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে কৌশলে বিভিন্ন অ্যাপস এর মত নকল করে মেসেজ পাঠায় এরপর ফোন কল দিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দাবি করে এই বলে যে এই নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বিকাশ বা অন্যান্য নির্দিষ্ট মাধ্যমে পেমেন্ট এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না পাঠালে তারা উক্ত ভাতা পাবেন না, এতে সরল মনের মানুষ গুলো তা বিশ্বাস করে ভাতা না হারানোর জন্য কাউকে কিছুুু না বলে তাদের দাবিকৃত অর্থ পাঠিয়ে দেন। এমন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়, ভুক্তভোগী সাধারন জনতার দাবি বয়স্ক ভাতা ও শিক্ষাবৃত্তির টাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক এবং বয়স্ক ভাতা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ নিজ এলাকায়় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রতারণার হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে পারে।