বিপুল ইসলামঃ লালমনিরহাট জেলায় গরু ছাগলের হাটে করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি না থাকায় তা বিক্রেতাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লালমনিরহাটের অন্যতম বড় পরিসরের গরুর হাট হিসেবে বড়বাড়ি ইউনিয়নের বড়বাড়ি বাজারের গরু ও ছাগলের হাটকেই ধরা হয়ে থাকে। করোনাকালে তেমন সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও।
১৯মে,রোজ বুধবার বড়বাড়ি হাট ঘুড়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ভটভটি ও ট্রাকে করে এবং হেঁটে হেঁটে গরু ও ছাগল নিয়ে হাটে আসতে থাকেন কৃষক ও খামারিরা। দুপুর গড়াতে না–গড়াতেই হাট জমে ওঠে। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত শুধু গরু আর গরু। তুলনামূলকভাবে ছাগলের আমদানিও ব্যাপক হয়ে থাকে। কিন্তু সে তুলনায় হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক কম। তাই দিন শেষে অর্ধেক দামে গরু বিক্রি করে হতাশা নিয়ে হাট থেকে ফিরেছেন অনেক কৃষক-খামারি। অন্যদিকে সস্তায় গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
হাটের ইজারাদার, গরুর খামারি ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে যে বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে হাট থেকে শত শত গরু কিনে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনীসহ দেশের বড় বড় শহরে নিয়ে যেতেন ব্যবসায়ীরা।আশপাশের জেলা থেকে অনেকেই পশু কিনতে আসতেন এ বাজারটিতে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় আগের বছরগুলোর মতো বড় বড় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাগণ আসছে না এই হাটে।
বিক্রেতাগণ অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে অনেকটা বিরক্ত হয়েই ফিরেছেন হাট থেকে।গরু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাজমুল হক (৩৫)বলেন, গত সপ্তাহে একটি গরু হাটে নিয়ে এসেছিলাম । ক্রেতাগণ দাম করেছিলো ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু আমি কিনেছিলাম ১ লাখ২০হাজার টাকায়। গরু ব্যবসায়ীদের চাহিদা কম থাকায় লস করে হলেও ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হলো আজকে।
অন্যদিকে ক্রেতা মোঃ বিদ্যুৎ(৩০) বলেন,গরুর দাম সস্তা হওয়ায় তিনটি গরু কিনে নিলাম।বড়বাড়ি হাটের ঘুরে ইজারাদার কতৃপক্ষ থেকে জানা যায় ,করোনার কারনে কয়েক সপ্তাহ হাট বন্ধ রাখতে হয়েছে। পরবর্তীতে সরকারী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাট আবার চালু করলেও এখনো আগের মতো জমে উঠেনি এই হাট। এই নিয়ে দারুন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাট ইজারাদার। হাট কর্তৃপক্ষ বলেন, ভ্যাট,আয়কর ও জামানত চার্জসহ অনেক টাকা রাজস্ব কোষাগারে জমা দিয়ে এই গরুরহাটের ইজারা নেওয়া হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত তেমন একটা সুফল পাওয়া যায়নি।