ইংরেজিতে রিজ গ্রাউন্ড নামে পরিচিত এই সবজি সারা বিশ্বে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে স্বীকৃত। এতে খাদ্য-আঁশ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, রিবোফ্ল্যাভিন, জিঙ্ক, লোহা, থায়ামিন ও ম্যাগনেশিয়াম। ১০০ গ্রাম ঝিঙেতে রয়েছে ৯৩ গ্রাম জলীয় অংশ, শূন্য দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২ দশমিক ৬ গ্রাম আঁশ, ৩০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ১৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৬ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ ও ৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। আসুন এবার ঝিঙের উপকারী দিকগুলো জেনে নেওয়া যাক। ওজন নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ: ঝিঙে খুবই কম ক্যালরি বা খাদ্যশক্তির একটি সবজি। এতে চর্বি নেই। এর আঁশ কোলেস্টেরল কমায়। এ ছাড়া এতে প্রচুর পানিও রয়েছে। তাই ঝিঙে খেলে বারবার খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছে কমে যায়। ফলে একে ওজন কমানোর মহৌষধ বলা চলে।
রক্ত শোধক: রক্তকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে ঝিঙে অতুলনীয়। যকৃতের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। পাশাপাশি এটি অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাবও দূর করে। জন্ডিস নিরাময়কারী: জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঝিঙে আদর্শ পথ্য। ঝিঙের ‘জুস’ পান করলে যকৃতের কর্মক্ষমতা বাড়ে।পাকস্থলী ভালো রাখে: এতে প্রচুর আঁশ থাকায় এটি পেট পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পাইলস রোগ দূরে রাখে। অ্যাসিডিটি ও আলসারও নিরাময় করে এটি। নিয়মিত ঝিঙে খেলে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ে, খাবারও হজম হয়। ডায়াবেটিসে উপকারী: ঝিঙেতে বিদ্যমান পেপটাইড এনজাইম রক্তের চিনির পরিমাণ কমায়। রক্তের ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝিঙে খুবই উপকারী।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক: প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিবায়োটিকের চমৎকার গুণ রয়েছে এই সবজিতে। শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয় এটি। ত্বকেরও সুরক্ষা দেয়। এটি বিভিন্ন রোগজীবাণু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।