ফরিদুল ইসলাম ফরিদ : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর বাজার সংলগ্ন “এরশাদ গার্ডেনে” অভিযান পরিচালনা করেন বনবিভাগের কর্মকর্তা গণ। গত ২০ মে বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ এ সব বন্য প্রাণী উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন।অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আটকে রাখা বাজপাখি, বানর, অজগর, ময়না, টিয়া, শকুন সহ বিভিন্ন পশুপাখি উদ্ধারে সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেন এ সি এফ ডা. প্রান্তোষ চন্দ্র রায়।
এসময়ে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলা জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, রাংটিয়া রেঞ্জের প্রধান ইলিয়াছুর রহমান, বালিজুরি রেঞ্জের প্রধান রবিউল ইসলাম, বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক সহ সেফ দ্যা ন্যাচার অফ বাংলাদেশ “( Save The Nature of Bangladesh ) জামালপুর জেলা শাখার আহবায়ক প্রভাষক হাসানুজ্জামান সজিব, যুগ্ম আহবায়ক উজ্জ্বল হোসেন, সদস্য ডা. হাবিবুর রহমান, নাজমুস সাকিব, মিজানুর রহমান, সাইদুর রহমান, এবং পরিবেশ উন্নয়ন ক্লাব জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত উল্লাহ প্রমুখ।
অবশেষে নার্সারির মালিক এরশাদ এসব প্রাণী আটকে রাখার কোন বৈধতা প্রমাণ দিতে না পেয়ে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে বন্যপ্রাণী গুলো শেরপুর বন বিভাগের নিকট পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গিকার করে মুচলেকা দেন।সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে প্রেমিক কাপলের আলাপ আলিঙ্গনের অভয়ারণ্য খ্যাত এরশাদ গার্ডেনে প্রবেশের জন্য বাঁকা আচরণ করেও টাকা গ্রহন করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্য প্রাণী প্রদর্শন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রশাসন কর্তৃক পাঁচ দিনের সময় সীমা বেঁধে দিলে মালিকের কোন প্রতিক্রিয়া নাই। অজ্ঞাত কোন উপর মহলে খুঁটির জোর আছে বলেও ধারনা করেন সচেতন মহল।বন্য প্রাণীদের প্রকৃতিতে মুক্ত ভাবে বিচরণে সাহায্য করবে প্রশাসন, এমনটাই প্রত্যাশা প্রকৃতি প্রেমী মানুষের।