অলোক মজুমদারঃ ভয়ঙ্কর ঘুর্নঝিড় ইয়াস মেকোবলোয় প্রস্তুত বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক ভার্চ্যুয়াল মিটিং করনে বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তাদের সাথে।ঘুর্নিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় ঊপকূলীয় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসক সভায় বলেন,আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে আন্দামানে সৃষ্ট লঘুচাপ ঘুর্নিঝড়ে রুপ নিয়ে ২৬মে নাগাদ ভারতের ঊড়িষ্যার ঊপকূল ও সুন্দরবনে ঊপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১২০থেকে ১৫০ কিলোমিটারে আঘাত হানতে পারে।কোন কারনে গততিবেগ কম হলেও ২৬মে ভরাকটালের জন্য ৮থেকেে ১২ ফুট জলচ্ছাস হতে পারে।এতে উপকূল অঞ্চল প্লাবিত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।যার জন্য বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জেলায় ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন,বাগেরহাট উপকুলীয় জেলা হওয়ায় ঝড় জলোচ্ছ্বাসের কারনে জেলা বাসী বেশী ঝুকিতে থাকনে।তাদের জান মাল রক্ষার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ জন্য উপকুলীয় উপজেলা মোংলা,শরনখোলা,মোড়েলগঞ্জ,রামপাল সহ অন্যান্য উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সভায় আরো জানানো হয় ঝুর্নিঝড় মোকাবেলায় জেলা, উপজেলা প্রশাসন,রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি,ফায়ার সার্ভিস,কোস্টগার্ড,নৌবাহিনী সহ সকল সরকারী বেসরকারী সংস্থা প্রস্তুত থাকবে।এছাড়া ইউনিয়ন,ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি,নেতাদের সংশ্লিষ্ট করে জনগনকে সচেতন করার কথা সভায় বলা হয়।এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিসুদ্ধ খাবার পানি,আলোর ব্যবস্থা থাকবে।
জনগণকে শুকনো খাবার সাথে রাখার জন্য জেলা প্রশাসক বলেন।স্বাস্থ্য বিধি মেনে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার জন্য বলা হয়। করোনা ঝুকি রুখতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলেন এবং প্রয়োজনে স্কুল কলেজে জন সাধারনদের আশ্রয় নেবার জন্য খোলা রাখতে বরেন।
বাগেরহাট জেলা এান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আরাফাত সিদ্দিকী বলেন,৩৪৪ কেন্দ্রের সাথে স্কুল কলেজে আশ্রয় নেওয়া যাবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ১কোটি ৮৭লাখ টাকা ও ২৮মেট্রিকটন খবদ্য মজুদ সহ ৩টি পৌরসভার জন্য ৬লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। ঘুর্নিঝড় ও পরবর্তী সময়ে ঝড়ে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নির্নয় করে এান সামগ্রী জেলা প্রশাসন পৌছে দিতে তৎপর থাকবে।
জেলা প্রশাসকরে সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, সিভিল সার্জনডাঃ কে,এম হুমায়ুন কবির,মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ ই আলম বাচ্চু,মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃদেলোয়ার হোসেন,মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার সহ সরকারী কর্মকর্তারা।