মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল : শুক্রবার (২১ মে) রাতে সদর উপজেলার অষ্টাধর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জিয়াউর রহমানের বাড়ির পেছনে মাটির নিচে গর্ত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী ও তার জা’ সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানায়, সৈকত হাসান আকাশ উপজেলার অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলি মন্ডলবাড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আকরাম হোসেনের ছেলে। সে অষ্টধার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত ১৯ মে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সৈকত হাসান আকাশ। পরদিন তার বাবা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরুজ তালুকদার জানান, নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
জানা যায়, অষ্টধর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মেয়ে জেসমিন আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্কুল ছাত্র সৈকত হাসান আকাশের। এমতাবস্থায় তারা দুজন পরিবারকে না জানিয়ে গত ২ মে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গত বুধবার (১৯ মে) রাতে জেসমিন আক্তার ফোন করে আকাশকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়।
আকাশের পরিবারের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ শুক্রবার ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের বাড়ি তল্লাশী করে। তল্লাশীর সময় জিয়াউর রহমানের বাড়ির পাশে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয়। সন্দেহ থেকেই বাড়ির চারপাশে খোঁজ নিতে থাকলে জিয়াউর রহমানের উঠানের এক অংশে মাটি খোড়া দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ সেই জায়গায় গর্ত খুঁড়ে মাটির নিচ থেকে সৈকত হাসান আকাশ ১৬ মরদেহ উদ্ধার করে।
এসময় নিহতের চোখসহ শরীরে একাধিকস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এঘটনায় নিহতের পিতা আকরাম হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনার অভিযুক্ত পরিবারের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন নিহতের বাবা-মা সহ এলাকাবাসী