হাসানুজ্জামান,মেহেরপুরঃ মেহেরপুরের গাংনীতে ভাইবোন সহ চাঁদাবাজ চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুট ও চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রবিবার উপজেলার বামুন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গাংনী থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রতন লালের মেয়ে জোসনা রানী তার ভাই মেঘলাল,প্রতিবেশি নজরুলের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও আব্দুর রবের ছেলে মকলেছুর রহমান।গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আহসান আলী নামের এক ব্যক্তিতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে বামুন্দীতে ডেকে নিয়ে ঘরে আটকিয়ে রাখে।এসময় তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ৫ লাখ টাকা দাবী করে।
বিষয়টি জানতে পেরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যবসায়িকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রতন লালের মেয়ে জোসনা রানী তার ভাই মেঘলাল,প্রতিবেশি নজরুলের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও আব্দুর রবের ছেলে মকলেছুর রহমান সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।মামলা নং ১৭ তাং ২৪.০৫.২০২১ ইং।
মামলার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলা তদন্ত শুরু হয়েছে। মামলার আসামীরা ইতোমধ্যে অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম বলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান,স্থানীয় একটি প্রতারক চক্র রতন লালের মেয়ে জোসনা রানীকে দিয়ে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও বিত্তবান ছেলেদের মোবাইল ফোনে সখ্যতা গড়ে তোলে কৌশলে ডেকে নিয়ে ঐ প্রতারক চক্ররা আটক রেখে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো।
জোসনা রানীর বিরুদ্ধে অনৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টির অভিযোগে নরসিংদী জেলার দুটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।স্থানীয়দের দাবি বামুন্দী এলাকায় সক্রিয় একটি প্রতারক চক্র রয়েছে যারা কৌশলে নিবর চাঁদাবাজি করছে। ঐ চাঁদাবাজরা সম্প্রতি একটি ক্লিনিকের মালিকের কাছ থেকে একই ভাবে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে এলাকার চিহিৃত চাঁদাবাজ ও প্রতারক চক্রদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।