হাসানুজ্জামানঃ জীবিত থাকলেও নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত এমন তথ্যে বিপাকে পড়েছে মেহেরপুরের গাংনীর বেশ কয়েকজন বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী নারী পুরুষ। জাতীয় পরিচয় পত্রে নাগরিকদের একের পর এক মৃত ঘোষনার তথ্য দেয়া,ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম না থাকার কারনে অনেকেরই ভাতা বন্ধ নানা বিড়ম্বনায় পড়েছে।
ভুল তথ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভুগীরা।রায়পুর ইউনিয়নের গোলাপনগর গ্রামের প্রতিবন্ধী রাবেয়া খাতুন জানান,তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৫৭১৪৭৭৩৪৭৪৫৩৪। প্রতিবন্ধী ভাতা নেওয়ার জন্য বিকাশ নং চালু করতে হবে একারনে গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্মার্ট কার্ড নিতে আসলে অফিস থেকে জানানো হয় তার কোন তথ্য নেই তিনি মৃত। মৃত ঘোষনায় তিনি মানষিক ভাবে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। দ্রত সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়ার দাবি করেন তিনি।
ধানখোলা ইউপির আড়পাড়া গ্রামের নাসিরের স্ত্রী মোছাঃ মুর্শিদা খাতুন জানান,তার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৫৭১৪৭২১৩৭৬৩৩১। জানান, সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে বিধবা ভাতা নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে বিকাশ একাউন্ট করতে হবে। নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে আসলে জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তার কোন তথ্য নেই। শুধুমাত্র মৃত লেখা আছে। দ্রত সময়ের মধ্যে জাতয়ি পরিচয় পত্র না পেলে বিধবা ভাতার তালিকা থেকেও নাম বাদ দেয়া হবে।
মটমুড়া ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের বৃদ্ধ মুনসুর আলী বলেন,সিমকার্ড নিবন্ধন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্ট কার্ড ) নিতে আসলে গাংনী নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয় জাতীয় পরিচয় পত্রে তার কোন তথ্য নেই। শুধুমাত্র মৃত লেখা আছে। তিনি জীবিত থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারনে তথ্য বিভ্রান্তি হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করে দ্রত জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়ার আহবান জানান।
গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: আব্দুল আজিজ বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংগ্রহকারীরা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য দিয়েছে। একারনে জীবিত থাকলেও মৃত দেখিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গাংনী উপজেলার অন্তত ১৫ জনের এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ভুক্তভুগীরা আবেদন করলে জাতীয় পরিচয় পত্র দেয়া হবে। তবে তথ্য সংগ্রহকারীরা দায়িত্বশীল হলে ভুলতথ্য এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। ভুলতথ্য সংগ্রকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।