ইব্রাহিমঃ নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নে শাবনুর আক্তার (১২) নামের এক স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের সৎ মা খালেদা আক্তার পলাতক রয়েছে।মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে আদর্শ গ্রামের একটি ডোবা থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাবনুর আক্তার ওই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।নিহতের বাবা আবুল কাশেম জানান, সোমবার সকালে তিনি শাবনুরকে নিয়ে নিজের দোকানে যান। দুপুর ১২টার দিকে শাবনুরকে ভাত আনতে বাড়ীতে পাঠান তিনি। দীর্ঘসময় গেলেও শাবনুর ভাত নিয়ে না আসায় তিনি বাড়ীতে যান। ঘরে গিয়ে শাবনুরের সৎ মা খালেদাকে তার কথা জিজ্ঞেস করলেও সে কোন উত্তর দিতে পারেনি। বিকেল পর্যন্ত শাবনুরের কোন খবর না পেয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খবর নিয়েও শাবনুরের কোন সন্ধান পাননি তারা। মঙ্গলবার সকালে আদর্শ গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাশে একটি ডোবার পাশে শাবনুরের ওড়না ও দুটি লাঠি দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে লোকজনকে নিয়ে খোজাখুঁজির এক পর্যায়ে ডোবার ভিতের শাবনুরের লাশ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করা হয়।
আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, মেয়ে শাবনুরকে তার স্ত্রী খালেদা পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর ডোবার ভিতর ফেলে দিয়েছিল। ঘরের একটি কক্ষে শাবনুরের রক্ত পড়ে আছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকা- বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের সৎ মা পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করার পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।