বিনোদন ডেস্ক: ৮২ দিন ধরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। এর মধ্যে সর্বসাকল্যে ১২ দিন কেবিনে থেকে তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর বাইরে সব কটি দিন তাঁকে কাটাতে হয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। ২৬ দিন ধরে তাঁকে আইসিইউ থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে খাবার খাওয়ানো যাচ্ছে না ফারুককে। ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান এমনটাই জানিয়েছেন।
ফারুকের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার খবর জানতে গতকাল রাতে কথা হয় তাঁর স্ত্রী ফারহানা পাঠানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত মাসে মাত্র দুই দিনের জন্য কেবিনে আনা হয় ফারুককে। তাঁর সুস্থতার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আবার শারীরিক অবস্থা এমন হয় যে তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হয়। ১ মে থেকে আবার আইসিইউতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে নতুন কোনো তথ্য দেওয়ার মতো নেই। চিকিৎসক আমাদের বলেছেন ধৈর্য ধরতে। আমরা তা–ই করছি। দেশবাসীর কাছেও ফারুকের জন্য দোয়া চাইছি।’ প্রথম আলো।
গত ৪ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলছে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার। প্রথমে তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মস্তিষ্কেও সংক্রমণ পাওয়া যায়।১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন সদ্য প্রয়াত ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী।
১৯৭৫ সালে ফারুক অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার অভিনীত কালজয়ী সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘নয়নমণি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ইত্যাদি। ফারুক একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। বাংলানিউজ