আন্তর্জাতিকঃ ফ্রান্সের একটি বিলাসবহুল পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি এলভিএমএইচ এর প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আরনল্ট। ফোর্বসের সোমবারের হিসাবে কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি পাওয়ায় শীর্ষ ধনীর প্রতিযোগিতায় ফ্রান্সের এই ধনকুবের টপকে গেলেন জেফ বেজোসকেও।
ফোর্বস, অবজার্ভার, ডেইলি মেইলফোর্বসের দেওয়া তথ্য মতে, তিনি এখন মোট ১৮৬.৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক, যেখানে বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮৬ বিলিয়ন। অর্থাৎ বেজোসের চেয়ে বর্তমানে ৩০০ মিলিয়ন বেশি অর্থের মালিক বার্নার্ড। অন্যদিকে ইলন মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৭.২ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালেই ফরাসী ফ্যাশন কোম্পানি টাইকুন বার্নার্ডের সম্পত্তিতে যোগ করেছে আরও ৪৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে বার্নার্ডের সম্পত্তির পরিমাণ ছিলো ৭৬ বিলিয়ন। করোনা মহামারির মধ্যেই তা বেড়ে সোমবার ১৮৬.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ফলে মাত্র এক বছরের ব্যাবধানে তিনি টপকে গেলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীকেও।
ফোর্বস রিয়েল টাইমস বিলিয়নেয়ার র্যাংক বিশ্বের ধনকুবের দৈনিক আয়ের ওঠানামার হিসাব রাখে নিয়মিত। এর ভিত্তিতেই বিশ্বের ধনীদের তালিকা করা হয়। সেই তালিকায় সোমবার এক নম্বরে উঠে এসেছেন বার্নার্ড। এদিন প্রথম বাণিজ্যিক ঘণ্টায় এলভিএমএইচ এর শেয়ার ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তার কোম্পানির উত্থান হয়েছে ৩২০ বিলিয়ন ডলার এবং এর ফলে বার্নার্ডের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৬০০ মিলিয়ন ডলার।
লুঁই ভিটন ও সেফোরার মতো ৭০টি ব্রান্ডের পর্যবেক্ষক তিনি। এছাড়া ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের ৯৬.৫ শতাংশ স্টেক হোল্ডার বার্নার্ড, যেটি এলভিএমএইচ এর ৪১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন জুয়েলারি কোম্পানি টিফানি অ্যান্ড কো এর সঙ্গে ১৫.৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেন তিনি। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল।