রাশিদুজ্জামান লিটন : ডুমুরিয়া উপজেলার বৈঠাহারা গ্রামে পারিবারিক পূর্ব শক্রতার জের ধরে বিনোদ মন্ডল’র ছেলে চন্দন মন্ডল (২৯) কে বেদম মারপিট করে আহত করেছে প্রতিপক্ষ পবিত্র মন্ডল, মিলন মন্ডল ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী চন্দন মন্ডল বাদী হয়ে বুধবার বিকালে ডুমুরিয়ায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।ডুমুরিয়া থানার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,ডুমুরিয়া থানার বৈঠাহারা গ্রামের চন্দন মন্ডলের পরিবারের সাথে বৈঠাহারা গ্রামের মৃত বিষ্টুপদ মন্ডলের ছেলে পবিত্র মন্ডল(৪০)মিলন মন্ডল(৩৫)এর দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২৬ই মে তারিখ সকাল অনুমান ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বিবাদীদ্বয় পবিত্র মন্ডল ও মিলন মন্ডল ডুমুরিয়া থানাধীন আধারমানিক ৫নং স্লুইস গেট দিয়ে লবন পানি ঢোকায়। ইহাতে গেটের দক্ষিণ পার্শ্বে চন্দন মন্ডলের মৎস্য ঘেরে থাকা বাগদা চিংড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ বের হয় যায়।
তখন চন্দন মন্ডল উক্ত স্লুইস গেটের কাছে পেয়ে পবিত্র মন্ডল ও মিলন মন্ডল’র কাছে জানতে চায় পাউবো’র স্লুইস গেট অবৈধ ভাবে খোলার কারন কি।তখন কোন কিছুই উত্তর না দিয়েপবিত্র মন্ডল ও মিলন মন্ডলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা
তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠিসোটা হাতে নিয়ে চন্দন মন্ডল কে একা পেয়ে বেদম মারপিট করে আহত করে।ঐ সময় চন্দন মন্ডল’র বাবা বিনোদ মন্ডল সংবাদ পেয়ে ঘঠনাস্থলে এগিয়ে আসলে বিবাদীদ্বয় বৃদ্ধ বিনোদ মন্ডলকে মারপিট করতে উদ্যত হয়।এবং হুমকি ধামকি দিয়ে দ্রুত ঘঠনাস্থল ত্যাগ করেন।
তাদের আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তি লোকজন ছুটে এসে চন্দন মন্ডল কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডুমুরিয়া থানায় এসে ২জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান,চন্দন মন্ডল বাদী হয়ে পবিত্র মন্ডলসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করে বুধবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।