সোহাগ হোসেন, শার্শা প্রতিনিধিঃ ঈদের আগে শার্শার বাজার গুলোতে বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। ফলে ৬৫০ টাকা কেজির নিচে এখন আর গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল শনিবার (৩০ এপ্রিল) শার্শার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছেন ৬৫০ টাকা। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৬৮০ টাকা কেজিতেও গরুর মাংস বিক্রি করছেন। আর গ্রামের সাপ্তাহিক ব্যবসায়ীরা গরুর মাংস বিক্রি করছেন কেজিতে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। এ ছাড়া শার্শার বেনাপোলে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। যদিও এক সপ্তাহ আগে শার্শার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের কেজি ছিল ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকা।
গরুর মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। শার্শার বাগআচড়ার বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। তবে সোনালি মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতো ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। গাজরের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। গত সপ্তাহের মতো ব্যবসায়ীরা বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে১৫ থেকে ২০ টাকা। এছাড়া পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, শজিনা ডাঁটার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বড় ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা।