জামাল কাড়াল :বরিশাল রুপালী বাস টার্মিনালে মাহিম গাড়ীর ষ্টাফ মুন্না মঠবাড়ীয়া যাত্রী পরিবারসহ কে মারধর করে এ ঘটনা ঘটে ২৮ শে মে শুক্রবার সকাল সারে ৮টার দিকে এ ঘটনায় কোতয়ালী থানা কর্মকর্তা নজরুল হক ঘটনা স্থলে এসে মাহিম পরিবহণ গাড়ীর কাউকে ধরতে পারেনি। ভুক্তভোগী শামীম সিকদার বলেন, ‘২৬ নং ওয়ার্ড কালিজিরায় বাসা আমার। মেইন বাড়ি মঠবাড়িয়ায়। আজ আমি মঠবাড়িয়া বাড়ী যাইতেছিলাম। এ সময়ে বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়ায় ভাড়া দেড়শ টাকা কইরা। কিন্তু করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল করায় ২৪০ টাকা করে ভাড়া দেই। আমরা চারজনেই ২৪০ টাকা করে টিকেট নিয়া সিটে বসছিলাম। নিয়ম হচ্ছে, এক সিট খালি রাহা। কিন্তু ওই গাড়ীর সুপারভাইজার এক সিট তো খালি রাখে নাই বরং আরো যাত্রী উঠাইছে দাঁড়া করে নেয়ার জন্য।আমি এর প্রতিবাদ করলে বাসের সুপারভাইজার, হেলপারসহ বাসস্ট্যান্ডের ১৫/২০ জন শ্রমিক মিল্লা বাসের সিটেই আমারে মারধর করে। আমারে বাঁচাইতে গেলে শ্রমিকরা আমার মা, ভাগ্নে বৌ কারিমাকে মারধর করে। শুধু আমাগো মারধর করছে সেটাই নয়, আমার ভাগ্নের সাত বছরের মাইয়া মুনিয়ারে জানালা দিয়া নিচে ফেলে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির মাহিম পরিবহনের (গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো ব-১৪৪৯৯৮) সুপারভাইজার মুন্নার নেতৃত্বে ব্যাপক মারধর করা হয়।যাত্রীদের মারধরে শুধু ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির শ্রমিকরাই নয় রূপাতলী বাস মালিক সমিতির শ্রমিকরাও অংশ নেয়। সপরিবারে মারধরের পর তাদেরকে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিয়েই মঠবাড়িয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও তারা ঘটনাটি দেখেনি বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীররা।