রাজু হোসেনঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ন ও অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে তিন শ্রমিকের করুন মৃত্যু ও ১০ শ্রমিকের আহত হওয়ার পরও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ইটভাটা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছন৷ এতে এলাকাবাসীর মাঝে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয় নিয়ে কৌতুল সৃষ্টি হয়৷ গত ২৩ মে রবিবার উপজেলা ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামে মেসার্স মদিনা ব্রিকসের ভাটার দেওয়াল ধসে কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ইটভাটাটি অনিদিষ্ট সময়ের জন্য ইটভাটাটি বন্ধ করে দেয় ৷
একই ইটভাটায় ২০১৯ সালে দেওয়ার ধসে ৫ জন শ্রমিক এখনো পঙ্গুত্ব বরন করে অমানবিকভাবে দিন কাটছে ৷ প্রশাসন ইটভাটাটি বন্ধ করলেও ঘটনার ১ দিন পর ভাটার শ্রমিক সর্দার ও এলাকার কিছু সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় ভয় দেখিয়ে ও চাপ সৃষ্টি করে শ্রমিকদেরকে দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ভাটার মালিক আমির হোসেন ডিপজল৷
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমির হোসেন ডিপজল নিজে উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ ইট পোড়ানোসহ সকল কাজ করাচ্ছেন৷ এ সময় কয়েকজন শ্রমিক জানান, আমাদের সাথের ৩ জন শ্রমিক মারা যাওয়ার শোক সামলাতে না সামলাতে আমাদেরকে সর্দারের নির্দেশে কাজ করতে হচ্ছে৷ প্রথম থেকে আমরা এ ঝুঁকিপূর্ন ভাটায় কাজ করতে মালিকে বলেছি৷ মালিক এ সব কথা কোন কর্নপাত করেনি৷ আমরাও অভাবের তাড়নায বাধ্য হয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
ইটভাটর মালিক আমির হোসেন ডিপজল জানান, আমরা তৈরী ইটগুলি পোড়ানো শেষ হলে ভাটা বন্ধ করে দিব৷ রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা জানান, ইটভাটাটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে৷ এ পর কিভাবে চালু করছে তা জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷