এস এম নিয়াজ মোর্শেদঃ সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে ফাঁকা পিরোজপুরের পথঘাট বিপাকে পড়েছে পিরোজপুরের নিন্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষপিরোজপুরে কড়াকড়িভাবে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন।লকডাউনে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনেরব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
শহরের মত গ্রামগুলোতেও কঠোরভাবে চলছে লকডাউন। তবে রাস্তাঘাটে সামান্য কিছু ছোট যানবাহনের দেখা মিললেও, সেগুলো ছিল প্রায়ই যাত্রীশূন্য। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। তবে রমজানের মধ্যে লকডাউনের কারণে উপার্জন না থাকায় মহা বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে ফাঁকা পিরোজপুরের পথঘাট। কিছু ঔষধ, মুদি দোকান, কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার ছাড়া শহরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে এ বিধিনিষেধ। চলবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। সকাল থেকেই প্রায় জনশূন্য পুরো শহর। যানবাহন নেই বললেই চলে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে
বের হলেই জরিমানা ও প্রশাসনের জবাবদিহির মুখে পড়তে হয়। তবুও বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অহেতুক ঘর থেকে বেরোলেই পড়তে হবে জরিমানার কবলে।এই দিকে সকাল থেকেই শহরের প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে জেলা পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। টহল দিচ্ছেন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল। বিধি ভেঙে রাস্তায় বেরোলেই জেরা করছে পুলিশ। কঠোর এ নির্দেশনার কারণে বন্ধ রয়েছে জেলার সব অফিস- আদালত। তবে চালু রয়েছে জরুরি সেবা কার্যক্রম। নিজস্ব যানে চলাচল করছেন জরুরি
সেবার কর্মীরা।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকেই রাস্তায় রয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন তিনি জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তারা কাজ করছেন তারা। বিধিনিষেধ অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে বের না হবার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।